ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে যেসব এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ মে ২০২০, ১০:০৮  
আপডেট :
 ২০ মে ২০২০, ১০:১৩

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে যেসব এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
প্রতীকী ছবি

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে থেকে ১০ থেকে ১৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড়টি বুধবার সকাল ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিঃমিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৪৫ কিঃমিঃ দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৯০ কিঃমিঃ দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিঃমিঃ দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

আরও পড়ুন: সুপার সাইক্লোন ‘আম্পান’: ১০ নম্বর ‘মহাবিপদ সংকেত’

আম্পানের কারণে বুধবার সকাল ৬টা থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত।

এছাড়া উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও এই ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আরও পড়ুন: সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে সুপার সাইক্লোন আম্পান

এদিকে, আম্পান ধেয়ে আসায় ভারত ও বাংলাদেশে মঙ্গলবার থেকে উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছে। বাংলাদেশে ২২ লাখ মানুষকে ১২ হাজার ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে সরকার।

১৬ মে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া আম্পান ধাপে ধাপে শক্তি বাড়িয়ে সুপার সাইক্লোনের রূপ পায়। তবে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসার পথে কিছুটা শক্তি হারিয়ে এটি এখন অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকারে রয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৫ ফুট জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা, সন্ধ্যায় আঘাত হানতে পারে ‘আম্পান’

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল। সেই বছরের ১২ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ের সময় ১০ থেকে ৩৩ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছিল চট্টগ্রামের নিচু এলাকা। ঝড় উপকূল পার হওয়ার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ২২৪ কিলোমিটার। এরপর ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের সময় চট্টগ্রামে ১২ থেকে ২২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছিল। ওই ঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ছিল ২২৫ কিলোমিটার।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত