ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

মংলা-সুন্দরবন অতিক্রম করছে আম্পান

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২০ মে ২০২০, ১৯:১৮  
আপডেট :
 ২০ মে ২০২০, ১৯:২৩

মংলা-সুন্দরবন অতিক্রম করছে আম্পান

মংলা ও সুন্দরবন অতিক্রম করছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এর আগে ঘূর্ণিঝড়টি বিকাল ৫টার দিকে উপকূলের বাংলাদেশ অংশে পৌঁছে। ভারতের সাগরদ্বীপের পাশ দিয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভূভাগে উঠে আসছে।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ভারতের পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়ার পর স্থলভাগে তাণ্ডব চালাতে চালাতে অগ্রসর হচ্ছে কলকাতার দিকে, এর বিস্তার প্রবেশ করেছে বাংলাদেশেও।

আরে পড়ুন: বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে আম্পান

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান বিকাল ৫টার দিকে উপকূলের বাংলাদেশ অংশে পৌঁছেছে। ভারতের সাগারদ্বীপের পাশ দিয়ে সুন্দরবন ঘেঁষে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের ভূভাগে উঠে আসছে। ওই সময় এর কেন্দ্রের কাছে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝেড়ো হাওয়ার আকারে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ব্যস প্রায় ৪০০ কিলোমিটার জানিয়ে মান্নান বলেন, পুরোপুরি স্থলভাবে উঠে আসতে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা লাগতে পারে। এর প্রভাবে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এবিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সামছুদ্দীন আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পান উপকূল অতিক্রম করা শুরু করেছে। আজ রাত ৮ টার মধ্যে এটা উপকূল অতিক্রম করে যাবে।

সামছুদ্দীন আহমেদ জানান, অতিক্রমের সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। আর এসময় জলোচ্ছ্বাস হবে ১০ থেকে ১৫ ফুট। তিনি বলেন, বিকেল চারটা থেকে রাত আটটার মধ্যে আম্পান বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা অঞ্চল অতিক্রম করবে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ক্রমান্বয়ে কমতে থাকবে।

এরআগে মঙ্গলবার থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি ও ঝড় দেখা গেছে। আজও ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় আম্পান স্থলভাবে উঠে আসার পর বৃষ্টি ঝরিয়ে কমতে শুরু করবে ঝড়ের শক্তি। তবে এগোনোর গতি থামবে না। এবষিয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস বলছে, এ ঝড় রাত ৮ টার মধ্যে সুন্দরবন সংলগ্ন সাগরদ্বীপের পূর্ব পাশ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছাতে পারে।

এদিকে কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসতে থাকায় ২৩ লাখ ৯০ হাজার ৩০৭ জন মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এছাড়া ৫ লাখ ১৭ হাজার ৪৩২টি গবাদিপশুকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে বলে বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান জানিয়েছেন।

লোকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ১২ হাজার ৭৮টি থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার ৩৩৬টি করা হয়েছে। বাংলাদেশে ঝড়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া মানুষের সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। এরআগে ঘূর্ণিঝড় ফণির সময় ১৮ লাখ এবং বুলবুলের সময় ২২ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল।

আরও পড়ুন: আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫ লাখ মানুষ

এরআগে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার পর স্থলভাগে উঠে আসতে শুরু করেছে। স্থলভাগে উঠে আসার প্রক্রিয়ার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আম্পান। সেই সঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকাজুড়ে চলছে তুমুল বৃষ্টি।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত