ফেরিঘাটে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘরমুখো মানুষের ঢল
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২০, ১৫:১৮ আপডেট : ২৩ মে ২০২০, ১৬:২৫
ঈদের বাঁকি আর মাত্র একদিন। তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট দিয়ে বাড়ি ফিরছে হাজার হাজার মানুষ। ফেরি পারাপারে ছিল সাধারণ মানুষের উপচেপড়া ভিড়।
শনিবার সকাল এ নৌরুটের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো হাজারো যাত্রীর ঢল নামে। এ সময় সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি যাত্রীদের। তবে সময় এবং বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী ও ব্যক্তিগত যানবাহনের চাপ আরো বাড়বে বলে জানায় ঘাট কতৃপক্ষ।
এদিকে সড়কে গণপরিবহন না থাকায় ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভেঙে ভেঙে পাটুরিয়াতে এসে গাদাগাদি করে ফেরিতে নদী পার হয়ে দৌলতদিয়াতে আসছে যাত্রীরা। দৌলতদিয়া প্রান্তের সড়কে গণপরিবহন না থাকায় দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া ঘরমুখো যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
এ সময় যাত্রীদের অতিরিক্ত কয়েকগুন ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যান, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে গন্তব্য যেতে দেখা গেছে।
ঘরমুখো যাত্রীরা বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট খুলে দেওয়ায় তারা বাড়িতে ঈদ করতে যেতে পারছেন তাই তরা অনেক আনন্দিত। তবে গণপিরবহন না থাকায় তারা ভোগান্তির মধ্যে পরেছেন। ভেঙে ভেঙে তারা ঢাকা থেকে বাড়িতে যাচ্ছেন এতে তাদের ভাড়াও বেশি লাগছে। তারপরও তারা বাড়িতে ঈদ করতে যেতে পেরে অনেক আনন্দিত।
আর পণ্যবাহী যানবাহনের চালকেরা বলেন, তারা ফেরি পারে হতে টিকেটের মূল্যের চাইতে কয়েকগুন টাকা বেশি দিয়ে আগের ফেরি পার হতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ৯টি ছোট বড় ফেরি চলাচল করছে। এতে পণ্যবাহী ট্রাক, মাক্রোবাস, প্রাইভেটকার, এ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেলসহ হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের ঢল আরো বেশি হবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে