ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

বাড়ছে না ছুটি, মানতে হবে যেসব বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি!

বাড়ছে না ছুটি, মানতে হবে যেসব বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিধি!

করোনাভাইরাসের কারণের স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। ভয়াবহ এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে দেশে নজিরবিহীনভাবে টানা ৬৭ দিন সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলছে। কয়েক দফায় বাড়ার পর আগামী ৩০ মে শেষ হচ্ছে ছুটি। এ অবস্থায় করোনা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকলে ভোগান্তি বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের।

জানা গেছে, টানা ছুটির কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে স্থবিরতা নেমেছে। এছাড়া বিপুল সংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় করোনার সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার পন্থা অবলম্বন করতে যাচ্ছে সরকার। কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু স্বাভাবিক করতে চায় সরকারের নীতিনির্ধারকরা।

এ ধরণের উদ্যোগ নেয়ায় আগামী ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর নাও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। ফলে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা সরকারি ছুটি শেষ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। এরমধ্যে আগামীকাল সোমবার (২৫ মে) দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। তবে এ ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, রোববার (২৪ মে) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে ছুটির বিষয়ে কিছু না বললেও ২৮ মে’র দিকে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন বলে কর্মকর্তারা মনে করছেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় হয়তো পরিস্থিতি কিছুটা আঁচ করা যাবে। অথবা ২৮ মে’র দিকে হয়তো প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত জানতে পারব। ছুটি বাড়বে কি না সেটা প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত দিলে জানা যাবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনা না কমলেও ছয় মাস এক বছর কী লকডাউন দিয়ে বসে থাকতে হবে। তাহলে এর বিকল্প কী? বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে, মাস্ক ব্যবহার করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই বের হবে, বাসায় থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘বাঁচতে চাইলে নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিতে হবে। সামনে যেই দাঁড়াবে, মনে করবেন করোনাভাইরাস আছে তার। আপনাকে মরিয়া হয়ে বাঁচতে হবে তার কাছ থেকে। আমাদের সচেতন হয়ে বাঁচাতে হবে দেশকে। আমেরিকায় দুই হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু সব খুলে দিয়েছে তারা। এভাবে চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার।

দেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। সে অবস্থায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর কয়েকদফা বাড়িয়ে সর্বশেষ আগামী ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি দেয়া জয়। ছুটির সঙ্গে বন্ধ গণপরিবহনও। কিছুদিন ধরে ব্যবসায়ে শিথিলতা এসেছে। সীমিত আকারে চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শপিং মল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মোট ৪৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৫৩২ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩ হাজার ৬১০ জনে। সুস্থ হয়েছে ৪১৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছে ৬ হাজার ৯০১ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২০ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।’

  • সর্বশেষ
  • পঠিত