করোনায় মৃত ২১ জনের বাড়ি যেসব এলাকায়
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২০, ১৬:৪৫
দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে নতুন করে ১১৬৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৩৬ হাজার ৭৫১ জনে। এছাড়া এ সময়ে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২২ জনে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে করোনাভাইরাস সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
মৃত ২১ জনের বিষয়ে বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২১ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী রয়েছেন।
আরো পড়ুন: একদিনেই আক্রান্ত ১১৬৬, মৃত্যু বেড়ে ৫২২
মৃত্যুবরণকারীদের বয়স ভিত্তিক পরিসংখ্যান হলো- ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৬১ থেকে ৭০ এর মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ এর মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ১১ থেকে ২০ বছররের মধ্যে ১ জন এবং ০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন।
নতুন করে যারা মারা গেছেন- এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে চারজন এবং বরিশাল বিভাগের দুজন রয়েছেন। ২০ জন মারা গেছেন হাসপাতালে এবং একজন মারা গেছেন বাসায়।
মঙ্গলবারের বুলেটিনে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইনের চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেয়া হয়েছে আরও ১৮২ জনকে এবং বর্তমানে আইসোলেশনে রয়েছেন চার হাজার ৭৭০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৫ জন এবং এ পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৩২৩ জন।
আরো পড়ুন: করোনায় মৃত ২১ জনকে নিয়ে যা বললো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
সারাদেশে আইসোলেশন শয্যা আছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে আছে ছয় হাজার ৩৪টি। সারাদেশে আইসিইউ শয্যা আছে ৩৯৯টি, ডায়ালাইসিস ইউনিট আছে ১০৬টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই হাজার ৪৫২ জনকে। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে দুই লাখ ৬৮ হাজার ৩১৫ জনকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টাইন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৮৬৮ জন। এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ১২ হাজার ৩২৬ জন। বর্তমানে হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক মিলিয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৫৫ হাজার ৯৮৯ জন।
দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।
বুলেটিনে বরাবরের মতোই করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/ওয়াইএ