প্রেম করে বিয়ে, যৌতুক না পেয়ে হত্যা
বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২০, ২১:২০
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নপুর গ্রামে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূ মুক্তি রানী বৈদ্যকে (১৮) বালিশচাপায় হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে নিহত মুক্তির বাবা উপজেলার রত্নপুর ইউনিয়নের থানেশ্বরকাঠী গ্রামের বাসিন্দা সুমন বৈদ্য বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন এর পরপরই নিহতের স্বামী মিঠুন, শ্বশুর খোকন ও শাশুরি রীনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকেলেই গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি আফজাল হাসেন জানান, ১০ মাস আগে রানীর সাথে প্রেমের সম্পর্কে মিঠুন সমাদ্দারের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মুক্তি শ্বশুরবাড়িতেই অবস্থান করছিল। মিঠুনের বাবা-মা মুক্তিকে স্বাভাবিকভাবে মেনে নিতে না পারায় বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই ছেলের ব্যবসার জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করে। মুক্তির শ্রমিক বাবার পক্ষে যৌতুকের দাবিকৃত টাকা দেয়া সম্ভব না হওয়ায় প্রায়ই মানসিক ও শারিরীকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো তারা।
মুক্তির বাবা সুমন বৈদ্য বলেন, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় ঈদের দিন সোমবার সন্ধ্যার পরে তার মেয়ে মুক্তিকে মারধর করে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর মুক্তির মরদেহ গামছা দিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে নামিয়ে ফেলে। মুক্তির মৃত্যুর কোন খবরও তাদের জানায়নি।
পরে লোকমুখে খবর পেয়ে বিষয়টি থানাকে জানালে পুলিশের এসআই শাজাহান ও এসআই আব্বাস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই মুক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মুক্তির ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে