ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

১০ মিনিটে পণ্য শুল্কায়নের নতুন রেকর্ড

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২০, ১৭:১০

১০ মিনিটে পণ্য শুল্কায়নের নতুন রেকর্ড

মাত্র ১০ মিনিটে শুল্কায়ন শেষ, ১৯ মিনিটে রিলিজ অর্ডার। শুল্কায়নের সময় হ্রাসে নতুন রেকর্ড। গত ১৯ মে (মঙ্গলবার) এ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেনাপোল কাস্টম হাউজ। বৃহস্পতিবার এনবিআর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

এনবিআর জানিয়েছে, ভারত থেকে ২১টি রেল ওয়াগন বোঝাই ধানবীজ আমদানি হয়। ৭ লাখ ৭৫ হাজার কেজি (৭৭৫ টন) ধানবীজ। সম্ভাব্য খাদ্য সংকটরোধে ধানবীজ দ্রুত কৃষকের হাতে পৌঁছাতে নজিরবিহীন এ পদক্ষেপ নেন কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী।

এনবিআরের কেন্দ্রীয় কাস্টমস সফটওয়্যার অ্যাসাইকুডা ওয়াল্ডের তথ্য মতে, ধানবীজের ওয়াগনগুলো ১৯ মে সন্ধ্যা ৭টা ১৯ মিনিটে রেলওয়াগনে বেনাপোল রেলস্টেশনে পৌঁছে। রাত ১১টা ২৭ মিনিটে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সারথি এন্টারপ্রাইজ সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি রেজিস্ট্রেশন করে। ১১টা ৩৬ মিনিটে রাজস্ব কর্মকর্তা নঈম মীরন শুল্কায়ন অনুমোদন করেন। ৯ মিনিটে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট পরবর্তী সোনালী ব্যাংকে শুল্ককর জমা করেন। ১১টা ৪৬ মিনিটে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান রিলিজ অর্ডার প্রিন্টেড করেন। সর্বসাকুল্যে ১৯ মিনিটে শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে ১০ মিনিটে শুল্কায়ন ও পরবর্তী ৯ মিনিটে রিলিজ অর্ডার প্রিন্ট হয়।

রাজস্ব কর্মকর্তা নঈম মীরন বলেন, সমগ্র আমদানি প্রক্রিয়ায় এ টুকুই কাস্টমসের কাজ। শেষ ৯ মিনিট সময় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট টাকা জমা দিতে নিয়েছেন। সব ঠিক থাকলে ৫ মিনিটেও আমরা শুল্কায়ন করার দক্ষতা অর্জন করেছি। কাগজপত্র ঠিক থাকলে কেবল রেলকার্গো নয়, সব ধরনের চালানই দ্রুত শুল্কায়ন করা যায়।

কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, রেল কার্গোতে আমদানির দ্রুত শুল্কায়ন ও খালাস হয়। সময় ও খরচ সাশ্রয়ের পাশাপাশি পণ্য নষ্ট হয় না। পার্কিং সিন্ডিকেট মাঝপথে ট্রাক আটকে চাঁদাবাজি করতে পারে না। রেল কার্গোতে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি করা হয় এবং করোনা ঝুঁকি থাকে না। ট্রাক ও রেল কার্গোর তুলনা করে দেখা যায়, বর্তমানে রেল কার্গো মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ভারত থেকে বেনাপোলে পৌঁছে। একটি ওয়াগনে চারটি ট্রাকের সমান পণ্য আনা যায়। রেল কার্গোতে মিথ্যা ঘোষণার সুযোগ কম। ভাড়া ট্রাকের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। আবশ্যিক পার্কিং, ট্রাকের অপেক্ষা ও চাঁদাবাজি নেই। দিনে ১০০ বগির একটি ট্রেন ৪০০ ট্রাকের সমান পণ্য আনতে পারে।

তিনি আরও জানান, ট্রাকে করে ধান বীজের এই চালানটি আমদানি করা হলে খালাস করতে ৫ থেকে ৬ দিন লাগতো। ৫০টির বেশি ট্রাকের প্রয়োজন হতো। আর ৫০ জন ড্রাইভারের মধ্যে একজন না এলে খালাস বন্ধ। বন্দর ও রাস্তায় যানজট হতো। ট্রাকে এই একই চালানের ভাড়া দ্বিগুণেরও বেশি। প্রান্তিক ভোক্তা কৃষকের ব্যয় প্রায় ২৫% বেড়ে যেতো।

বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘শুল্কায়নে এই রেকর্ড চোখে আঙুল দিয়ে কয়েকটি জিনিস দেখিয়ে দিলো। আমরা চাইলে পারি! এসব ক্ষেত্রে দরকার যোগ্য নেতৃত্ব। একইসঙ্গে উদ্যমী টিম থাকলে অসাধ্য সাধন সম্ভব। বেনাপোল যেটা সম্ভব করেছে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত