ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

যমুনার পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতে হুমকির মুখে ৫ গ্রাম

  সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ৩১ মে ২০২০, ০৫:২৪

যমুনার পানি বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতে হুমকির মুখে ৫ গ্রাম

যমুনা নদীর আগ্রাসী থাবায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলে আবারও ভাঙনের তাণ্ডবলীলা শুরু হয়েছে। বিলীন হচ্ছে বসত ভিটা, তাঁত কারখানা, কবরস্থান, মসজিদ-মাদরাসা ও পাকা সড়ক। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম।

তবে পাউবো ভাঙনরোধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা না নেয়ার ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

এলাকাবাসি জানায়, এ বছর যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির পরথেকে চৌহালীর জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ থেকে খাষপুখুরিয়া ও বাঘুটিয়া ইউপির চরবিনানই-ভুতের মোড় এলাকা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙ্গন চলছে। গত তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দক্ষিণ খাষপুখুরিয়া, মধ্য খাষপুখুরিয়া ও মিটুয়ানী এবং রেহাইপুখুরিয়া নতুন পাড়া ও চরবিনানই এলাকার প্রায় শতাধিক বসত ভিটা, ঘরবাড়ি, ৭টি তাঁত কারখানা, ৩টি মসজিদ ও মাদরাসাসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রায় দেড় কিলোমিটার পাকা সড়ক নদীতে বিলীন হয়েছে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের উপজেলা সদরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসব এলাকার অধিবাসিরা প্রয়োজনীয় কাজে উপজেলা সদরে যাতায়াতে বিকল্প হিসেবে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা ঘুরে অতিরিক্ত ভাড়া ও দ্বিগুন সময় নষ্ট করে যাতায়াত করছে।

এ বিষয়ে খাষপুখুরিয়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক আবু দাউদ সরকার, বেলাল হোসেন ও চরসলিমাবাদ গ্রামের সামাজ সেবক আবদুর রব মাসুদ জানান, নদীতে পানি বাড়ায় প্রচণ্ড স্রোতে ও ঘূর্ণ্যবর্তের কারণে একের পর এক ভাঙনে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, রাস্তা, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। এখনই জরুরী ভিত্তিকে স্থায়ী তীর সংরক্ষন বাঁধ নির্মান না করা হলে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, দেওয়ানগঞ্জ বাজার, সেতু, তাঁতী পাড়া, চেয়ারম্যান বাড়িসহ বহু শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গনের কবলে পড়বে।

এ বিষয়ে চৌহালীর খাষপুখুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ সরকার জানান, পানি বৃদ্ধির পর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৪ কিলোমিটার এলাকায় নদী ভাঙনে ঘরবাড়ি হাড়ানো পরিবারদের তালিকা করে উপজেলা প্রশাসনকে দেয়া হচ্ছে। তবে দ্রুত স্থায়ী তীর সংরক্ষণ কাজ না করলে অস্তিত্ব বিলীন হবে চৌহালীর দক্ষিণাঞ্চলের। এ চিন্তা ও হতাশায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ।

চৌহালী ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, নদী ভাঙনের রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে পাউবোসহ উর্ধ্বতন মহলকে বিস্তারিত অবগত করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, ভাঙনরোধে জরুরী কাজের জন্য ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থায়ী তীর সংরক্ষণ কাজ করা হলে আশা করি এলাকা ভাঙন মুক্ত হবে।

সিরাজগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মমিন মন্ডল জানান, ভাঙন ঠেকাতে দু-তিন দিনের মধ্যে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলা হবে। এছাড়া স্থায়ী তীর সংরক্ষণ কাজের জন্য পাউবো’র প্রকল্পটি দ্রুত অনুমোদন ও কাজ শুরুর জন্য সর্বাক্তক চেষ্টা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত