ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

পদ্মায় পানি বাড়লেও দৌলতদিয়ায় ঘাট সঙ্কট

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২০, ১৬:৩২  
আপডেট :
 ০১ জুন ২০২০, ১৬:৫৭

পদ্মায় পানি বাড়লেও দৌলতদিয়ায় ঘাট সঙ্কট

২১ জেলার প্রবেশ দ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুট দিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে জনসাধারণ যানবাহনে পারাপার হয়ে থাকে। অথচ এ ঘাট দিয়ে যাতায়াতে নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রী ও চালকদের। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ফেরিঘাট দিয়ে যানবাহন পার হয়ে ওপারে পৌঁছানো।

যাত্রী ও চালকদের দিনের পর দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দৌলতদিয়া প্রান্তে যানজটের মধ্যে বসে থেকে ফেরিতে পার হতে হয় নানা ধরনের ভোগান্তির মধ্য দিয়ে। সেইসাথে রয়েছে রোদ, বৃষ্টি আর গরমের মধ্য দিয়ে যানজটে পড়ে অলস সময় পার করা।

এমনিতেই ৬টি ফেরিঘাট দিয়ে চলাচল করে হিমশিম খেতে হয় চালকদের; তারপর আবার দুটি ফেরিঘাট পুরোপুরি বিকল হয়ে বন্ধ রয়েছে। গত বছর নদী ভাঙনে ১ ও ২ নং ফেরিঘাট নদীেগর্ভে সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে যায়। অথচ ১ বছর কেটে গেলেও আজও এ দুটি ফেরিঘাট সংস্কার করতে পারেনি বিআইডব্লিউটিএ ঘাট কতৃপক্ষ। নানা সমস্যার মধ্য দিয়েই ঘাট পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।

আসছে বর্ষা মৌসুম, বাড়ছে পদ্মায় পানি। আর এ বর্ষা মৌসুমেই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ফেরিঘাট এলাকা। গত বছর বর্ষা মৌসুমে দৌলতদিয়ায় ১ ও ২ নং ফেরিঘাটসহ অত্র অঞ্চলের প্রায় হাজারেরও বেশি পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়। অথচ এ বছর বর্ষা মৌসুম চলে অসলেও সাময়িক প্রতিরোধ ব্যবস্থায় কিছু জিও ব্যাগের বস্তা ফেলা ছাড়া স্থায়ী কোন কাজ করা হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এ ঘাট এলাকায়। বিলিন হওয়া ১ ও ২ নং ফেরিঘাট না থাকায় বর্তমানে ৩, ৪, ৫ ও ৬ নং ফেরি ঘাটদিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ পারাপার হচ্ছে।

মেরামত করা হচ্ছে বিলিন হওয়া ঘাট দুটি। তবে শুষ্ক মৌসুমে কাজ না করে বর্ষা মৌসুমে কাজ শুরু করার কারণে এ ঘাট দুটি কাজের গুনগত মান নিয়ে থাকছে কিনা প্রশ্ন জনসাধারনের। ঘাট বন্ধ থাকায় এসব স্থানে স্থানীয়রা তাদের প্রয়োজনীয় ফসল তুলে তা রোদে শুকাচ্ছেন, পাশ দিয়ে গড়ে তুলেছেন বাড়িঘর।

সাধারণ মানুষ ও চালকেরা বলেন, গত বছর ১ ও ২ নং ফেরিঘাট দুটি নদীতে বিলীন হলেও আজও এ দুটি ঘাট সংস্কার করা হয়নি। ৬টি ঘাট থাকা সত্বেও দৌলতদিয়া প্রান্তদিয়ে যানজটের মধ্যে পরে যাত্রী ও চালকদের ভোগন্তির আর শেষ থাকত না। দিনের পর দিও ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদী পার হতে মহাসড়কে তাদের পড়ে থাকতে হয় যানযটের মধ্যে। প্রতিদিইন তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। বর্তমানে যে কাজ হচ্ছে, তা ঘাট এলাকায় বসবাসকারীদের চোখে ভালো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তারপর আবার ৬টি ঘাটের মধ্যে কমেছে ২টি ঘাট।

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া-আরিচা অঞ্চলের বিআইডব্লিউটিএ'র উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, বিলীন হওয়া ১ ও ২ নং ঘাটের সংস্কার কাজ চলছে। যদি বিআইডব্লিউটিসি সেখানে পন্টুন স্থাপন করে আগমাী ৩/৪ দিনের মধ্যে ঘাট দুটি দিয়ে যানবাহন পারাপার হতে পারবে।

তিনি জানান, ৩, ৪, ৫ ও ৬ নং ঘাট দিয়ে ফেরি পারাপার অব্যাহত রয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমকে চিন্তা করে ইমারজেন্সিভাবে ৬ নং ঘাটের ডানে আরো ১টি নতুন ঘাট তৈরি করা হচ্ছে। ১ ও ২ নং ঘাটের সংস্কার কাজসহ নতুন আরো ১টি ঘাট তৈরিতে আর্থিকভাবে খরচ হবে ৪০ লাখ টাকার মতো হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত