ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ইকনোমিস্টের প্রতিবেদন

ব্যাখ্যা দিল আইসিডিডিআরবি

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২০, ১৮:২০  
আপডেট :
 ০৭ জুন ২০২০, ২১:১১

ব্যাখ্যা দিল আইসিডিডিআরবি

গত ৬ জুন ‘ইনফেকশনস আর রাইজিং ফাস্ট ইন বাংলাদেশ ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্রিটিশ সাময়িকী ইকনোমিস্ট।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আইসিডিডিআরবি'র জন ক্লেমেনসের প্রাক্কলন অনুযায়ী রাজধানী ঢাকায় ইতোমধ্যে সাড়ে ৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে, যদিও সরকারি হিসাবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬০ হাজারের কম।

ইকনোমিস্ট ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে ডায়রিয়াজনিত রোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক গবেষণাকেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) নির্বাহী পরিচালকের বরাত দিয়ে।

ইকনোমিস্ট প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে যে সংখ্যা দিয়েছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে আইসিডিডিআরবি।

এক বিবৃতিতে আইসিডিডিআরবি বলেছে, ইকনোমিস্টের প্রতিবেদনে অধ্যাপক জন ডি ক্লেমেনসের বক্তব্য “প্রসঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা কত হতে পারে জানতে চাওয়ায় অধ্যাপক ক্লেমেনস বলেছিলেন, মহামারী শুরুর পর থেকেই আইসিডিডিআরবি তাদের কর্মীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের আওতায় রেখেছে। কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মত উপসর্গ থাকলে তাদের ২৪ ঘণ্টার হটলাইনে স্টাফ ক্লিনিকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে এবং কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে আইসিডিডিআরবি'র ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া আছে। আর যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, আইডিসিআরের সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের চিকিৎসা ও আইসোলেশন নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং কন্ট্যাক্ট্র ট্র্যাকিং হচ্ছে।

আসিডিডিআরবি'র তথ্য অনুযায়ী, তাদের মহাখালী ক্যাম্পাসে প্রায় ২ হাজার কর্মী কাজ করেন এবং তাদের ৪ থেকে ৫ শতাংশ কর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, যদিও আইসিডিডিআর’বি ক্যাম্পাসের সঙ্গে তাদের সংক্রমিত হওয়ার কোনো যোগসূত্র মেলেনি।

আইসিডিডিআরবি'র ৪ থেকে ৫ শতাংশ কর্মীর আক্রান্ত হওয়ার এই হার পুরো ঢাকা শহরের কমিউনিটি ট্রান্সমিশনের পরিস্থিতিকে বোঝায় না। আর এই হার ধরে অতি সরলভাবে পুরো শহরের পরিস্থিতির তুলনা করাটাও হয়তো যৌক্তিক নয়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত