সর্বোচ্চ আক্রান্তের দিনে মৃত্যুর রেকর্ড
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২০, ১৪:৩৪ আপডেট : ১২ জুন ২০২০, ১৫:০৪
করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে রেকর্ড ৪৬ জনের মৃত্যু এবং সর্বোচ্চ ৩৪৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
নতুন সংযুক্ত তিনটিসহ মোট ৫৯টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ হাজার ৯৫০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩২২টি। নতুন নমুনা পরীক্ষায় করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪৭১ জনের মধ্যে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮১ হাজার ৫২৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন আরও ৪৬ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হলো এক হাজার ৯৫ জনের। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০২ জন। ফলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন মোট ১৭ হাজার ২৪৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর দেশে ভাইরাসটিতে শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ, তবে শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
মৃত ৪৬ জনের মধ্যে ৩৭ পুরুষ এবং ৯ জন নারী। তাদের মধ্যে ২১-৩০ বছরের একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের একজন রয়েছেন, ৮১ থেকে ৯০ একজন এবং ১০০ বছরের বেশি বয়সের একজন রয়েছেন।
বরাবরের মতোই বুলেটিনে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত চার মাসে বিশ্বের ২১৫টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪ লাখ ৭১ হাজার ৯২ জন। মারা গেছেন ৪ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে ৩৭ লাখ ৮৮ হাজারেরও বেশি রোগী ইতিমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
আরএ
আরো পড়ুন:
১১ জুন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
১০ জুন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
৯ জুন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
৮ জুন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
৭ জুন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
৬ জুন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
৫ জুন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
৪ জুন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা
