ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে লেগুনা

  রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২০, ১৫:৩৮  
আপডেট :
 ১৭ জুন ২০২০, ১৭:৫৯

অতিরিক্ত ঝুঁকি নিয়ে চলছে লেগুনা

করোনাকালীন এ মহামারীর সময়ে মানুষের কষ্টের অন্ত নেই। এরই মাঝে আরেক বিষফোঁড়ার নাম হলো পরিবহন। রূপগঞ্জে ভোগান্তির আরেক নাম লেগুনা পরিবহন। ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন মানুষ, দেখার কেউ নেই। স্বল্প দূরত্বে চলাচলকারী হিউম্যান হলার (লেগুনা) গাড়িতে গাড়ির মালিকরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকিতে যাত্রী পরিবহন করছে।

করোনা পরিস্থিতিতে রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়া এলাকার লেগুনাগুলোতে নেয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। বাসগুলোতে জনসমাগম কম হলেও লেগুনাতে কমেনি। লেগুনার গেইটে ঝুঁলন্ত অবস্থায় যাত্রী বহন করছে চালকরা। তাতে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা, ছড়তে পারে করোনা।

শুধু তাই নয় বাড়তি ভাড়ার জন্য যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করছে চালকরা। লেগুনাতে থাকছে না শারীরিক দূরত্ব অথচ যাত্রীদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। এই উপজেলায় বেপরোয়া ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পরিচালিত কোনো পরিবহনের নাম জানতে চাইলে সবার আগে উঠে আসে নিষিদ্ধ লেগুনার নাম (হিউম্যান হলার)।

এছাড়াও চালক ও হেলপাররা ব্যবহার করছেন না মাস্ক। নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারও। হাত ধোয়ার জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে অতিমাত্রায় ব্লিচিং মিশ্রিত পানি, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক। বেপরোয়া ড্রাইভিং, শিশু হেলপার, লাইসেন্সবিহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, যত্রতত্র পার্র্কিং যেখানে- সেখানে যাত্রী ওঠানামা, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এসব অভিযোগ রয়েছে লেগুনা পরিবহনের বিরুদ্ধে।

লেগুনার কোথাও জীবাণুুমুক্ত স্পে করা হচ্ছে না। যাত্রীদের অধিকাংশই মাস্ক, হ্যান্ডগ্লোবস পরে স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টা করছেন। তবে যাত্রীরা গাঁঘেসে বসে রয়েছে তাদের সিটে। যেখানে সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছে কোনো গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না সেখানে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই না হওয়া পর্যন্ত স্ট্যান্ড ছাড়ে না লেগুনা চালকরা।

পাবলিক পরিবহনের স্বল্পতার কারণে এত অভিযোগ থাকার পরও এসব যানে চড়তে বাধ্য হচ্ছেন রূপগঞ্জবাসী। রূপগঞ্জ উপজেলাজুড়ে নিয়মের বাহিরে চলে গেছে নিষিদ্ধ লেগুনা পরিবহন। লেগুনা গাড়িতে যাত্রী নেয়ার কথা ১১ জন, সেখানে যাত্রী নিচ্ছে ১৪ জন চালকসহ ১৫ জন। এছাড়াও গাড়ির দরজায় তো ৪/৫ জন ঝুঁলেই থাকে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন সড়কে লেগুনার সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিকের উপরে। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছে চালক। যখন তখন ব্রেক করে আবার জোরে টান। কার আগে কে স্ট্যান্ডে পৌঁছে লাইন দেবে এ নিয়ে রাস্তায় চালকদের মধ্যে চলে রেস। কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি নয়। আর সবকটি লেগুনা গাড়িতে যাত্রী নেওয়া হয় ১৪ জন। পুরোপুরি মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি গায়ের সাথে গা ঘেঁষে বসতে হচ্ছে। আর তাতে ছড়ছে করোনা ভাইরাস।

এ ব্যাপারে ভূলতা এলাকার ট্রাফিক পুলিশের টিআই মনিরুল ইসলাম বলেন, সার্বিক করোনা পরিস্থিতিতে মনিটরিং করাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা মাঠে সক্রিয় আছি। স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তাও মনিটরিং করা হচ্ছে। লেগুনা হলো নিষিদ্ধ পরিবহন, তবে কাউকে যদি অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লেগুনা চলাচল করতে দেখি তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত