ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

অবশেষে হেরে গেলেন ডা. সমিরুল

  চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২০, ১৭:৫৪

অবশেষে হেরে গেলেন ডা. সমিরুল
ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু। ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে প্লাজমা নিয়ে করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়া চিকিৎসক ডা. সমিরুল ইসলাম বাবু ‘ফুসফুস জটিলতায়’ মারা গেছেন।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে হাসপাতালটির জেনারেল ম্যানেজার মো. সেলিম নিশ্চিত করেছেন।

সমিরুল চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। মানবিক চিকিৎসক হিসেবে সমিরুল চট্টগ্রামে জনপ্রিয়। তার বাড়ি বরিশালে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. নূর নবী বলেন, উনাকে গত ১৩ জুন আমাদের হাসপাতালের ৫১৫ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়। এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ৩১ মে রির্পোট নেগেটিভ আসে। তবে করোনা সংক্রমণের ফলে উনার ফুসফুসে ইফেক্টেড হয়। করোনামুক্ত হওয়ার পর আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। তবে উনাকে অক্সিজেন সার্পোট দেওয়া হতো। হঠাৎ বুধবার সকালে উনার সেচুরেশন কমে গিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

তিনি আরো বলেন, সেখানে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেওয়া হলেও উনার অক্সিজেন সেচুরেশন ৪০ এর উপর উঠছিল না। দুপুর আড়াইটার দিকে সেখানে তিনি মারা যান। ডা. সমিরুলের রির্পোট নেগেটিভ আসলেও আগে তো পজেটিভ ছিল, করোনা পজেটিভের সময় ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়ে গেছে তা আর রিকোভার হয়নি।

জানা যায়, ডা. সমিরুল ইসলাম চট্টগ্রামের প্রথম করোনা রোগী, যার ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে শুধু প্লাজমা থেরাপিই নয়, করোনার চিকিৎসায় আলোচিত সব পদ্ধতিই প্রয়োগ করা হয়েছে ওই চিকিৎসকের ক্ষেত্রে- এমনটাই জানিয়েছেন তার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

চমেক মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ বলেন, গত ৩১ মে ডা. সমিরুলের করোনা টেস্টের ফল নেগেটিভ আসে। কিন্তু তার ‘ফুসফুসের ফাংশন’ নিয়ে ঝুঁকি ছিল। আমার জানা মতে, তার আর করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়নি, যোগ করেন অনিরুদ্ধ ঘোষ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত