ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২০, ০০:১৫

সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সিরাজগঞ্জে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও কামারখন্দের জামতৈল হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি এনামুল হক বিজয় নৃশংসভাবে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দে পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে সিরাজগঞ্জ সদর ও কামারখন্দ উপজেলায় পৃথক স্থানে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত প্রয়াত নেতা সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের শোক সভায় যোগ দেয়ার জন্য আসার পথে শহরের বাজার ষ্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত এনামুল হক বিজয়কে প্রথমে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও পরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শনিবার বিকেলে তাকে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। তার মাথায় বড় ধরণের রক্তান্ত জখম হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ জানান, শহরের শহীদ এম, মনসুর আলী অডিটোরিয়ামে প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রোগামে আসার পথে বাজার ষ্টেশন এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ারধানগড়ার জিহাদ ও আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার আল আমিনসহ বেশ কয়েকজন মিলে এনামুল হক বিজয়কে চাপাতি ও রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। দলের মধ্যে কোন্দল থাকতে পারে। কিন্তু এমনভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করা নিন্দনীয় অপরাধ।

এ ঘটনায় আহত বিজয়ের বড় ভাই মো: রুবেল বাদী হয়ে শনিবার বিকেলে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে ছাত্রলীগের ৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ্যসহ ৪/৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা বলেন, ঘটনার পরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে আমাকেও মারপিটের জন্য দায়ী করা হয়েছে। দলের মধ্যে কোন কোন্দল নেই। তদন্তপূর্বক এ ঘটনার জন্য যারা দায়ী হবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিহাদ বলেন, শক্রতা বসত মারপিটের ঘটনায় আমাকে দায়ী করা হচ্ছে। প্রকৃত পক্ষে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না, জেলা ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে ছিলাম।

অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন বলেন, আমি বালুমহালে কাজ করি। কাজ শেষে প্রতিদিন রাতে বাড়ি যাই। ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে পুলিশী বাঁধা উপেক্ষা করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ কাঠালতলা ও কামারখন্দ উপজেলার বাগবাড়ি-পাইকোশা আঞ্চলিক সড়কে পৃথক ভাবে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে।

কামারখন্দ উপজেলার বাগবাড়ি-পাইকোশা আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধনে অংশ নেয়া কামারখন্দ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য রাইসুল ইসলাম রিপন বলেন, প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিমের দোয়া মাহফিলে যাবার পথে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকার সমর্থকরা ছাত্রনেতা বিজয়কে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করেছে। প্রতিবাদে আমরা জামতৈল, কড্ডা ও এনডিপি অফিসের সামনে মানববন্ধন করার চেষ্টা করলেও পুলিশী বাঁধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় ২টি স্থানে আমরা সংক্ষিপ্ত ভাবে মানববন্ধন করেছি। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবী করেন।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা মানববন্ধনে বাঁধা দেইনি। যেসব স্থানে মানববন্ধন হওয়ার কথা ছিল, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয়, সেই কারণে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে আমরা কঠোর পুলিশী অবস্থান নিয়েছি।

মামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত