ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

ওয়ার্ডবয়কে নির্যাতন, বিচারের দাবিতে আল্টিমেটাম

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ জুলাই ২০২০, ১৯:০৭

ওয়ার্ডবয়কে নির্যাতন, বিচারের দাবিতে আল্টিমেটাম

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের দায়িত্বরত দুই ওয়ার্ডবয়কে ছাত্রাবাসে নিয়ে বিবস্ত্র করে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। এসময় ঘটনা কাউকে জানালে গুমসহ হত্যার হুমকীও দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ এ ঘটনা তদন্ত করে যথাযথ বিচারের আশ্বাস দেয়ায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

নির্যাতনের শিকার ওয়ার্ডবয় দিদারুল ইসলাম ও নুরুল ইসলাম জানান, শের-ই বাংলা মেডিকেলের জরুরী বিভাগের ওয়ার্ডবয় মো. বাদশা করোনা উপসর্গ নিয়ে করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন। গত ২৮ জুন রাতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন সহকর্মী বাদশার ১৮ নম্বর কক্ষের বদলে ভুলক্রমে পাশে নারী চিকিৎসকের ১৫ নম্বর কক্ষে ডাকাডাকি করেন। কক্ষ ভুল হওয়ায় নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চান তারা।

পরদিন ২৯ জুন রাতে দিদার ও নুরুল করোনা ওয়ার্ডে ডিউটি করছিলেন। ওইদিন রাত ৯টায় ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. আরিফ ও মো. সজল মোবাইলে কল দিয়ে করোনা ওয়ার্ডের নীচে ডেকে নেন।

এ সময় ইন্টার্ন চিকিৎসক আরিফ ও সজলের নেতৃত্বে ৩টি মোটরসাইকেলযোগে ৬/৭জন ২ নম্বর ইন্টার্ন হোস্টেলে নিয়ে যায়। নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে ডাকাডাকি করার অপরাধে সেখানে তাদেরকে বিবস্ত্র করে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনা কাউকে জানালে হত্যা করে লাশ গুম করারও হুমকি দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

এদিকে নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে ডাকাডাকি করার ঘটনায় করোনা ওয়ার্ডের চিকিৎসক হাসপাতালের পরিচালকের কাছে অভিযোগ করে। এর প্রেক্ষিতে পরিচালক ওই দুই ওয়ার্ডবয়কে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। দুই সহকর্মীকে শারীরিক নির্যতন এবং উল্টো কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেঁটে পড়েন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা। তারা পরিচালকের কক্ষ ঘেরাও করে এবং সহকর্মীদের নির্যাতনকারীদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আল্টিমেটাম দেয়।

চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোদাচ্ছেল আলী কবির ও সাধারণ সম্পাদক সাহেব আলী জানান, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরস্হো স্টেল সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, ওই দুই ওয়ার্ডবয়কে শুধুমাত্র ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের উপর কোন শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়নি।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত