ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩১ মিনিট আগে
শিরোনাম

তদন্ত আর আলোর মুখ দেখে না

  সুশান্ত সাহা

প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২০, ১৭:৪০

তদন্ত আর আলোর মুখ দেখে না

লঞ্চ দুর্ঘটনার পর পরই একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। প্রত্যেকটি দুর্ঘটনায় তদন্ত রিপোর্টও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে না। প্রতিবেদনে দোষীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়াসহ নানান সুপারিশ করা হয়। দোষীদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আর সুপারিশগুলোও বাস্তবায়ন হয় না। ফলে প্রতিবছরই এ ধরনের দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লঞ্চ দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের ফিটনেস ঠিক আছে কিনা তা স্বচ্ছতা ঠিক করা, চালকদের প্রশিক্ষণ এবং যথাযথ আইনের প্রয়োগ করলে লঞ্চ দুর্ঘটনা কমে আসবে। পাশাপাশি নৌ-পুলিশের জন্য ফাঁড়ি ও থানা প্রয়োজন। প্রয়োজন আধুনিক জাহাজ, স্পিডবোট, হেলিকপ্টার ও সি-প্লেন। অন্যথায় পানি পথে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা যাবে না।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে সবচেয়ে বেশি লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে সংঘর্ষের কারণে। শুধু এ কারণে নৌপথে দুর্ঘটনার হার ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ। চালকের অদক্ষতা, অসতর্কতা, বেপরোয়া মনোভাব ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে নৌযানের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। অন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলোর মধ্যে অতিরিক্ত যাত্রী বা মাল বোঝাই, বৈরী আবহাওয়া, অগ্নিকাণ্ড ও তলদেশ ফেটে যাওয়া অন্যতম।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৯৯১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২৯ বছরে ৫৭০টি দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৬৫৪ জন মারা গেছেন। এসব ঘটনায় ৫১৬ জন আহত ও ৪৮৯ জন নিখোঁজ হন। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে যাত্রীবাহী নৌযানের সংখ্যা ২৩৬টি। ২০১৯ সালে ২৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। ৩৩ জন আহত ও ২০ জন নিখোঁজ হন। এর আগে ২০১৫ সালে ২২টি দুর্ঘটনায় ১২০ জন মারা যান। সর্বশেষ সোমবার বুড়িগঙ্গায় মর্নিং বার্ড-ডুবিতে ৩৪ জন মারা গেছেন।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক জানান, আমরা সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি দুর্ঘটনাকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে। কেউ যদি আইন না মানেন, তাদের বিরুদ্ধ আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমরা ছোট-বড় সব দুর্ঘটনাকে আমলে নেই। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কোনো ছাড় দেয়া হয় না।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএই্চ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত