ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

দলীয় কোন্দলে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা

  সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২০, ১৫:১৪

দলীয় কোন্দলে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা

সিরাজগঞ্জে দলীয় কোন্দলের কারণে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় ৯ দিন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে অবশেষে মৃত্যু কাছে গেরে গেলেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ জানান, রোববার সকাল ১১টার দিকে লাইফ সার্পোট খুলে দেয়ার পর চিকিৎসকরা এনামুলকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ সিরাজগঞ্জ পৌঁছার পর তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে আব্দুল্লাহ আরও বলেন, জানাজা ও দাফন কার্যক্রম শেষ করে এ ঘটনার প্রতিবাদে আজই ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে ২৬ জুন বিকেলে সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে আসার পথে শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয়কে মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। সে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও জামতৈল সরকারী হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতি।

আহত হওয়ার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২৭ জুন ছাত্রলীগ নেতা এনামুলকে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানেই আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। গত কয়েকদিন অধিকাংশ সময় সে অচেতন ছিল।

এ ঘটনার পর আহত ছাত্রলীগ নেতার বড় ভাই রুবেল বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের ২ সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সংগঠনের ৫ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

ইতোমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ জনের মধ্যে ৪ জন গ্রেপ্তার হলেও প্রধান আসামি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিয়ারধানগড়ার শিহাব আহমেদ জিহাদ (২৩) এখনও পলাতক রয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বর্তমানে ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বিজয়, জাহিদুল ইসলাম ও সাগর জেলহাজতে রয়েছেন। জামিনে মুক্ত রয়েছেন আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন।

এ ঘটনার পর গত রোববার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ মামলার ২ আসামি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহরের সয়াগোবিন্দ ভাঙ্গাবাড়ি মহল্লার আল-আমিন ও আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহরের দিয়ারধানগড়া মহল্লার শিহাব আহমেদ জিহাদকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছেন।

এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শামসুজ্জামান আলো, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী পিয়ার, যুব বিষয়ক সম্পাদক বদরুল আলম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ইমরুল কায়েস তপন, উপ-প্রচার সম্পাদক নাসিমুর রহমান নাসিম, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাকিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদ ইউসুফ জুয়েল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম জিহাদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান সোহেল, সাবেক সভাপতি জাকিরুল ইসলাম লিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বিন আহম্মেদ।

অপরদিকে, ছাত্রলীগ নেতা এনামুলের মৃত্যু সংবাদ পৌঁছার পর জেলা সদরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সদর থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, মারপিটের ঘটনার পর থেকেই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত