ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ঝিনাইদহে তদন্তে মিললো চেয়ারম্যানের চাল অনিয়মের সত্যতা

  ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২০, ১৯:১১

ঝিনাইদহে তদন্তে মিললো চেয়ারম্যানের চাল অনিয়মের সত্যতা

তদন্তে ফেঁসে গেছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও চালের দুই ডিলার। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির তথ্য পেয়েছে জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটি।

গত ৭ জুন তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত সরেজমিন তদন্ত করতে গেলে অভিযোগকারীরা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েল ও ডিলার ইমদাদুল এবং জিয়ার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সাক্ষি দেন।

তদন্তকালে একই জাতীয় পরিচয়পত্রের (মৃত ব্যক্তিসহ) বিপরীতে একাধিক ব্যক্তির চাল উত্তোলন, একজনের কার্ডের চাল অন্যজনকে প্রদান ও ওজনে কম দেয়ার সত্যতা পান বলে গত ১৫ জুন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার ইমদাদুল এবং জিয়া তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রশ্নের সদোত্তর দিতে পারেননি। এ সময় তারা নিশ্চুপ ছিলেন। ফলে চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় দুই ডিলার মধুহাটী ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নয়-ছয় করেছেন বলে প্রমাণ হয়েছে।

তদন্ত কর্মকর্তা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেহ মোহাম্মদ হাসনাত তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, চেয়ারম্যানের তালিকায় নাম না থাকলেও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের তালিকায় নাম আছে কুবিরখারী গ্রামের নুরুল ইসলামের। তিনি কোন চাল পাচ্ছেন না। একইভাবে বেড়াশুলা গ্রামের পিকুল, রবিউল, কামতা গ্রামের জাকির ও শরীফ, নওদাপাড়ার ফেরদৌসি, শহরবানু, আক্তারুজ্জামান, রেশমা, শামিম রেজা, গোপালপুরের দিজেন্দ্র নাথ, আলতাফ হোসেন ও বেজিমারা গ্রামের আবুল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি চাল পাননি।

রুপালী খাতুন নামে এক নারী প্রথম ৬ মাস চাল পেলেও পরবর্তীতে পাননি। ৭টি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ৩২ জনের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। ৬ জনের নাম ও ঠিকানা দুই তালিকায় ভিন্ন রকম পেয়েছে তদন্ত কর্মকর্তারা।

এসব বিষয়ে মধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন জুয়েল তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলেন, ৩৪ জনের তালিকা মৃত্যু ও সচ্ছল হওয়ার কারণে হালনাগাদ করে নতুন নাম অর্ন্তভুক্তি করা হয়েছে।

এদিকে চেয়ারম্যান ও দুই ডিলারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির তথ্য প্রমাণিত হওয়ার পরও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইনগত কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অভিমতসহ তদন্ত প্রতিবেদন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বিলম্ব করা হচ্ছে। ফলে চেয়ারম্যান বরখাস্ত বা ডিলারশীপ বাতিলের কালক্ষেপণে অভিযোগকারীরা নানা প্রশ্ন তুলছেন।

বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফ উজ জামান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত