ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

নজর কেড়েছে ৩০ মণ ওজনের ‘পালোয়ান’

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২০, ২১:২৫

নজর কেড়েছে ৩০ মণ ওজনের ‘পালোয়ান’

পুরো শরীর চকচকে কালো রঙের। পেটের দিকে, লেজের গোছা ও পেছনের দুই পায়ের ক্ষুর সাদা রঙের। নাম তার ‘পালোয়ান’। ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে ৩০ মণ ওজনের এই ‘পালোয়ান’ নামক গরুটি।

পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের মহেলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের খামারী আব্দুল্লাহ আল মাসুদের খামারে রয়েছে এই ষাঁড় গরুটি। আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে গরুটিকে দেশীয় পদ্ধতিতে মোটাতাজা করেছেন তিনি।

এমনিতে শান্ত স্বভাবের হলেও অপরিচিত মানুষ দেখলেই গর্জন শুরু করে বলে তার নাম ‘পালোয়ান’ রেখেছেন খামার মালিক মাসুদ।

আলাপকালে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, ছয় বছর ধরে গরুর খামার করে আসছেন তিনি। উপজেলার বোঁথড় গ্রামের একটি খামার থেকে দুই বছর আগে এক লাখ ২০ হাজার টাকায় গরুটি কেনেন তিনি। তারপর থেকে গত দুই বছর ধরে গরুটি লালন-পালন ও দেশীয় খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করেন।

খামারি মাসুদের দাবি, বর্তমানে চার বছর বয়সী গরুটির ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ মণ। কোরবানি উপলক্ষ্যে গরুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে কয়েকজন ব্যাপারি বাড়িতে এসে পালোয়ানকে দেখে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারলে কিছু লাভ হবে বলে জানান মাসুদ।

খামারি মাসুদ আরো জানান, প্রতিদিন দুই বেলা প্রায় দশ কেজি খাবার খায় তার পালোয়ান। এর মধ্যে রয়েছে গমের ভূষি, ধানের গুড়া, খেসারি, জব, ভুট্টা, শুকনো খড় ও কাঁচা ঘাস। প্রায় সাড়ে ৪শ’ টাকার খাদ্য লাগে পালোয়ানের। কোনো ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করা হয়নি। পালোয়ান এমনিতে বেশ শান্ত। কিন্তু বাড়িতে অপরিচিত মানুষ দেখলেই খুব গর্জন করে। গর্জন করা দেখেই তার নাম ‘পালোয়ান’ রাখা হয়েছে। মাসুদ, তার স্ত্রী ও এক ভাই মিলে পালোয়ানকে লালন পালনের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়।

এদিকে, পালোয়ানের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আশপাশের এলাকা থেকে অনেকেই গরুটি দেখতে যাচ্ছেন। কেউ পালোয়ানের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছেন।

গরু দেখতে আসা আব্দুর রাজ্জাক ও খলিল উদ্দিন আবীর জানান, বড় আকৃতির গরুর কথা শুনে দেখার আগ্রহ হয়েছিলো। তাই দেখতে আসছি। দেখে মনে হচ্ছে চাটমোহরে এতো বড় সাইজের গরু আর নেই। আমরা ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছি, অনেকে নানারকম মন্তব্য করছে, ভালোই লাগছে। আশা করি এবারের ঈদের আগেই গরুটি বিক্রি হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মহির উদ্দিন জানান, আমরা খামারিদের উৎসাহিত করি মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে গরু মোটাতাজা করতে। কারণ বেশি বড় আকৃতির গরু সবাই কিনতে পারেন না। অনেক সময় বিক্রি না হলে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তারপরও প্রাণিসম্পদ বিভাগ সবসময় খামারিদের পাশে আছে। বিভিন্নভাবে পরামর্শ, ভ্যাকসিন দেয়া হয়। খামারি মাসুদের গরুটিও আমরা দেখেছি সুস্থ, সবল আছে। আশা করছি তিনি কাঙ্ক্ষিত দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত