ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিয়ন্ড দ্যা প্যানডেমিকের ১০ম পর্ব

সংকটকালে দেশের জন্য তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২০, ১১:০২  
আপডেট :
 ০৮ জুলাই ২০২০, ১১:১০

সংকটকালে দেশের জন্য তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে

যুগে যুগে সংকটকালে দেশের জন্য তরুণরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায় আওয়ামী লীগের আয়োজনে করোনাকালীন সংকট নিয়ে ‘বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিক’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনার ১০ম পর্বে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

এবারের পর্বের আলোচনার বিষয় ছিলো ‘করোনাসংকট মোকাবেলায় তরুণদের ভুমিকা’। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই বিশেষ ওয়েবিনার প্রচারিত হয় দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদের সঞ্চালনায় এবারের পর্বে আলোচক হিসেবে যুক্ত হন বাংলাদেশ সরকারের পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি, বাগেরহাট-২ আসনের সাংসদ শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি, চট্টগ্রামের নারী সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কোভিড বিশেষায়িত হাসপাতালের মেডিসিন ও ইনফেকশাস ডিজিজ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফরহাদ উদ্দিন হাছান চৌধুরী মারুফ, মিশন সেভ বাংলাদেশ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক ইমরান কাদির এবং চ্যানেল ২৪ এর রিপোর্টার সাংবাদিক জিনিয়া কবির সুচনা।

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বলেন, যুগে যুগে সংকটকালে সবসময় তরুণরাই গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে বর্তমান করোনা সংকটকালে সহায় দুস্থ মানুষের পাশে সবার আগে গিয়ে দাড়িয়েছে আমাদের তরুণ সমাজ। আমার নির্বাচনী এলাকায় ডাক্তার যাবে বাড়ি এই স্লোগানকে সামনে রেখে যখনই কেউ অসুস্থ হয়েছে খবর পেলেই ডাক্তার তার বাড়িতে ছুটে যেতেন, প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিতেন। আমার এলাকা নদী ভাঙ্গন প্রবণ এলাকা, নদী ভাঙনের স্বীকার সেই সব মানুষের পাশে আমি সবসময় দাঁড়িয়েছি। আমার এলাকায় অসহায়, দুস্থ মানুষকে করোনাকালীন সংকটে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। আমরা হাওরঅঞ্চলসহ দেশের বন্যাকবলিত সমস্ত এলাকায় কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে পেরেছি। আলোচনা কালে তিনি ৯৮ সালে বন্যা মোকাবেলায় তরুণদের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিকভাবে বাংলাদেশে বন্যাকবলিত দেশ। উত্তরাঞ্চলে বন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ভাটি অঞ্চল দিয়ে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। করোনা সংকটের সময়ে আম্পানের হামলাও আমরা মোকাবেলা করেছি দৃঢভাবে। প্রতিটি নদী ভাঙ্গন এলাকায় বাঁধ নির্মানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নদী ড্রেসিং করে নাব্যতা সংকট কমানোর চেষ্টাও অব্যহত রয়েছে। আগামি কয়েক বছরের মধ্যে নদী ভাঙ্গন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি বলেন, বাংলাদেশের জন্মলগ্নের আগ থেকেই তরুণরাই সকল সংগ্রাম আন্দোলন ও সংকটকালে তরুণরাই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে তরুণরাই সবার আগে এগিয়ে এসেছে, মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমার এলাকা ফটিকছড়িতে সাধারন ছুটি ঘোষণা করার পর থেকেই তরুণদের সাথে সমন্বয় করে ডোর টু ডোর গিয়ে জনসচেতনতা তৈরির চেষ্টা করেছি। আমাদের পূর্নাঙ্গ চারটি আইসোলেশন সেন্টার চালু করেছি। আমাদের ২০ শয্যা বিশিষ্ট যে হাসপাল রয়েছে সেটিকে পূর্নাঙ্গ কোভিক হাসপাতাল প্রস্তুত করার কাজ চলছে। শুরুতে জনসচেতনতা তৈরি করতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছি, মাস্ক দিয়েছি। দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে যুবক ও তরুণ ভাইদের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি। এসময় তিনি তরুণদের বাংলাদেশের শক্তি ও ভবিষৎ বলে উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, নারীরা এখন সমঅধিকার পাচ্ছে, পুরুষের পাশাপাশি কাধে কাধ রেখে কাজ করে যাচ্ছে। তরুণ নারী ডাক্তার এবং পুলিশ যারা আছেন তারা ঘর সামলে নিজেদের কাজ করে যাচ্ছেন। অসহায় মানুষেকে সেবা দিচ্ছেন, দেশের নিরাপত্তায় কাজ করছেন। প্রতিটা ক্ষেত্রে নারির অধিকার নিশ্চিত করার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদও জানান তিনি।

উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান বলেন, সামগ্রিক ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তারুন্যের সংস্কৃতিকে ধারন করে। যদি দেখা যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটি পর্যন্ত সবজায়গাতে তারুন্যের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। করোনা সংকটকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমস্ত নেতা কর্মী মৃত্যুভয় অপেক্ষা করে অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের দুর্যোগ মহামরি মোকাবেলার অভিজ্ঞতা ছিলো বলেই দুর্যোগ শুরুর পর থেকে দল ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি নেতা কর্মী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের পক্ষে দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা মিলে এপর্যন্ত ১ কোটি ২৫ লক্ষ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা সহ অন্যান্য সহায়তা দিয়েছেন। সংকটকালে দলীয় সভাপতির দেয়া ৩১টি সুনিদৃষ্ট নির্দেশনা এবং তার নেয়া নানা পদক্ষেপের কথাও উল্লেখ করেন।

তিনি আরো বলেন, রাজনীতিতে আসা বা প্রবেশের ভিন্ন কোন উপায় নেই, আমরা প্রতিনিয়তই রাজনীতির মধ্যেই আছি। আমদের জীবন-যাপনের যে ধারা সেই ধারায় যদি আমরা আদর্শিক ভাবে চলি, মানবিক প্রেম, দেশপ্রম নিয়ে চলি তাহলেই রাজনীতির পথে আমাদের পথ চলা শুরু হবে। এই সময়ে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনীতি পথ চলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলাপ করেন।

চ্যানেল ২৪ এর স্টাফ রিপোর্টার জিনিয়া কবির সূচনা বলেন, গণমাধ্যম কর্মিদের কাজ হচ্ছে সঠিক তথ্য তুলে ধরা। আমাদের চ্যলেঞ্জ ছিলো সঠিক তথ্য তুলে আনা। করোনা সংকট মোকাবিলার ত্রুটি কিংবা হাসপাতালের সমন্বয়হীনতা তুলে ধরার পর স্বাস্থ্যসেবায় আরো সুদুরপ্রসারি ভাল ফলাফল লক্ষ করা যায়। গণমাধ্যম কর্মীরা জীবন বাজি রেখে কাগ করছে এই মহামারীতে। চিকিৎসা নিয়ে স্বচ্ছতা হওয়া উচিত। এমনকি টেস্ট এর ক্ষেত্রে কিট এর ব্যবহারে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়া উচিত।

আরএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত