ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

২ পুলিশের প্রেম, অতঃপর ভয়ঙ্কর পরিণতি!

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২০, ০৮:৩৭  
আপডেট :
 ১১ জুলাই ২০২০, ০৮:৫১

২ পুলিশের প্রেম, অতঃপর ভয়ঙ্কর পরিণতি!

রাজশাহীতে সহকর্মীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে মিতা খাতুন (২৫) নামে এক নারী কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন। ১০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি মারা যান।

নিহত মিতা খাতুন রাজশাহী মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন কেচুয়াতৈল পাইকপাড়া এলাকার মো. মুনসুর রহমানের মেয়ে।

একই থানায় কর্মরত কনস্টেবল শরিফুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। পুলিশ লাইন্স থেকে প্রেষণে দুজনেই এয়ারপোর্ট থানায় এসেছিলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, গত ২৬ জুন থানার এসআই তবারক হোসেনের করোনা শনাক্ত হয়। ওই সময় তার সংস্পর্শে আসা পাঁচ পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে মিতা খাতুনও ছিলেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন ৩০ জুন সকালে তিনি নিজ বাড়িতে বিষপান করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেন স্বজনরা। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরের দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তাকে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৫টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে মরদেহ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়।

ওসি আরও বলেন, থানার কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মিতা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে বিষপান করেন তিনি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত