ছাত্রীকে ৪ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ, শিক্ষক কারাগারে
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২০, ২০:০৩ আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২০, ২০:২০
ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমানকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় সাড়ে ৪ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মিজানুর রহমান সদরপুর উপজেলার সতেররশি গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সদরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে স্কুলের ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে সখ্যতা গড়ে তোলে মিজানুর। বিয়ের প্রলোভনে সদরপুর উপজেলার পরিত্যক্ত একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে মোবাইলে নগ্ন ভিডিও ধারণ করে সে। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মিজানুর।
এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। তারপর ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গত সোমবার রাতে সদরপুর থানায় শিক্ষককে আসামি করে মামলা করেন। পরে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ শিক্ষকের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
শিক্ষক মিজানুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনা ছাত্রীর সকল অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানান।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরপুর থানার এসআই মশিউর রহমান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ওই শিক্ষকের মুঠোফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। মঙ্গলবার ওই শিক্ষককে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। প্রয়োজনে ওই শিক্ষককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে
