ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

র‌্যাব সদর দপ্তরে শাহেদ, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২০, ১২:১৭  
আপডেট :
 ১৫ জুলাই ২০২০, ১২:২৮

র‌্যাব সদর দপ্তরে শাহেদ, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক শাহেদকে র‌্যাব সদর দপ্তরে নেয়া হয়েছে। সূত্র জানায়, শাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র‌্যাব।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে র‌্যাবের গাড়িবহরটি সদর দপ্তরে পৌঁছায়। এর আগে সকাল ৯টা ১০ মিনিটে তেজগাঁও পুরাতন বিমাবন্দর থেকে এক গাড়িতে করে তাকে নিয়ে রওনা দেয় র‌্যাব।

আরও পড়ুন: সাহেদের দুর্নীতি: ২ সংস্থাকে দুদকের চিঠি

র‌্যাব জানায়, করোনা টেষ্টের ভুয়া রিপোর্টের মামলাসহ ৫৯টি মামলা রয়েছে শাহেদের বিরুদ্ধে।

এর আগে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় হেলিকপ্টার থেকে নামানোর পর এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার বলেন, দালালের মাধ্যমে লবঙ্গবতী নদীর ইছামতিখাল দিয়ে সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ২টা থেকে ওই এলাকসয় অভিযান শুরু করেন র‌্যাব সদস্যরা। কিন্তু সে ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করায় গ্রেপ্তার করতে একটু সময় লেগেছে।

আরও পড়ুন: রিজেন্টের চেয়ারম্যান শাহেদ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

শাহেদ সম্পর্কে বুধবার সকালে র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া ইউংয়ের পরিচালক আশিক বিল্লাহ বলেন, তিনি (সাহেদ) ছদ্মবেশে বোরকা পরে নৌকা দিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আমাদের কাছে গোপন তথ্য ছিল। আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করি। তার বাসা সাতক্ষীরায় কিন্ত তিনি তারই জেলায় ছদ্মবেশে বিভিন্ন যানবাহনে চলাফেলা করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ড্রেনের ভেতর শুয়ে ছিলেন প্রতারক সাহেদ

তাকে গ্রেপ্তারে এত দেরি হলো কেন, এ প্রশ্নের জবাবে মিডিয়া ইউংয়ের পরিচালক বলেন, আমরা তার সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। সব সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। তাই সময়ে লেগেছে।

আরও পড়ুন: বোরকা পরেও রক্ষা পেলেন না শাহেদ

প্রসঙ্গত, করোনা টেস্ট না করে ফলাফল দেয়া, লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গত ৬ জুলাই রাজধানীর রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব। এর একদিন পর ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব। এরপর উত্তরা এবং মিরপুরে হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। সেই মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মো. শাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে রিজেন্ট চেয়ারম্যান শাহেদসহ নয়জনকে পলাতক হিসেবে এজাহারে দেখানো হয়েছিল। সেই মামলায় গত ৯ জুলাই সকালে শাহেদের সহযোগী তরিকুল ইসলাম তারেক শিবলীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর আজ ভোরে গ্রেপ্তার হলেন রিজেন্টের মালিক শাহেদ।

আরও পড়ুন: হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়েছে প্রতারক শাহেদকে

বাংলাদেশ জার্নাল/কেআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত