জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বদলেছিলেন সাহেদ
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২০, ০৬:৩৯ আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২০, ০৬:৪৫
জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম সংশোধন করেছিলেন মোহাম্মদ সাহেদ। বছরখানেক আগে নিজের নাম বদলে ‘সাহেদ করিম’ থেকে ‘মোহাম্মদ সাহেদ’ হয়ে যান রিজেন্ট হাসপাতালের এই মালিক।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক মো. সাইদুল ইসলাম জানান, ২০১৯ সালে নাম সংশোধনের জন্য প্রমাণ হিসেবে কেমব্রিজের ও-লেভেলের একটি সনদ, জন্মনিবন্ধন সনদ, নাগরিকত্ব সনদ ও পাসপোর্টের কপি দাখিল করেছিলেন সাহেদ। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো ধরনের প্রতারণার বিষয় পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম সংশোধনের জন্য প্রমাণ হিসেবে দেওয়া সাহেদের ‘ও’ লেভেলের সনদের সত্যতাও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন মহাপরিচালক। কোনো তথ্য গোপন বা মিথ্যা তথ্য দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় পরিচয়ন নিবন্ধন আইনের ১৪ ধারায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্য বা বিকৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করলে তা এ আইনের অধীনে অপরাধ বলে গণ্য হবে। সেক্ষেত্রে অনুর্ধ্ব ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।
প্রসঙ্গত,করোনার পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়াসহ নানা অভিযোগে জালিয়াতির মামলায় বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার দশ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় গত ৬ থেকে ৮ জুলাই অভিযান চালিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/আর