ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

গাইবান্ধায় বন্যা অপরিবর্তিত, বাড়ছে দুর্ভোগ

  গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২০, ১৬:১৩

গাইবান্ধায় বন্যা অপরিবর্তিত, বাড়ছে দুর্ভোগ

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট নদীর পানি এখনও বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আবারো বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। করতোয়া নদীর পানি বাড়ার ফলে তীরবর্তী এলাকা পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

এদিকে দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকায় শুকনো খাবার, গবাদিপশুর খাদ্য সঙ্কট, জ্বালানি, পয়ঃনিস্কাশন ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে বন্যা কবলিত এলাকার পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধে আশ্রিত পরিবারগুলো একই কারণে নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

সাঘাটার হলদিয়া ইউনিয়নের আব্দুল মমিন বলেন, বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছি সরকারি কোন ত্রাণ কেউ দিতে আসেনি। আমরা এখন অনেক বিপদে আছি।

ফুলছড়ি উপজেলার বাংকের চারের গোলাম আজম বলেন, আমরা এক বেলা খাই ২ বেলা না খেয়ে দিন কাটাই। কোন জনপ্রতিনিধি দেখার জন্য আসে না।

মুক্তিনগর ইউনিয়নের ভরতখালী (গো হাটি) গ্রামের করিম মিয়া বলেন, টিভিতে দেখা যায় সরকার ত্রাণ দিচ্ছে। কই আমরা তো ত্রাণ পাচ্ছি না। এই ত্রাণ কোথায় যায়?

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাশিয়া গ্রামের রুহুল আমিন বলেন, বন্যার কারণে আমরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। চারদিকে পানি আর পানি। দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ, নেই কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা।

সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় ৬১টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৮১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে করতোয়া নদীর ২৪ ঘণ্টাইয় ২১ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে ও তিস্তা নদীর পানি ২৪ ঘণ্টায় কাউনিয়া পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের প্রায় দের লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দ্বিতীয় দফায় এ পর্যন্ত ২১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শিশুখাদ্য চার লাখ টাকার, গোখাদ্য দুই লাখ টাকার ও ৩ হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলো বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরণ কার্যক্রম চলছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত