ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১০ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিনিদ্র রাত কাটিয়েও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত টিকিট

  সুশান্ত সাহা

প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২০, ১৯:৫০  
আপডেট :
 ২৬ জুলাই ২০২০, ১৯:৫৬

বিনিদ্র রাত কাটিয়েও মেলেনি কাঙ্ক্ষিত টিকিট
ফাইল ছবি

পলিয়ার ওয়াহিদ। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। নির্ঘুম রাত পেরিয়ে ঘড়ির কাটা যখন ভোর ঠিক ৬টা তখনই ল্যাপটপে ওয়েবপেজ খুলে ‌‘বাংলাদেশ রেলওয়ে অ্যাপে’ প্রস্তুতি নেয়া। উদ্দেশ্য, অনলাইনে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট ক্রয় করে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গ্রামের বাড়ি যশোর যাবেন। কিন্তু বিধিবাম, ৬টা বাজতেই অ্যাপ আর কাজ করছে না। ল্যাপটপেও শুধু লোডিং দেখাচ্ছে।

এভাবেই মিনিটের কাঁটা না শেষ হতেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠে ‘আপনার কাঙ্ক্ষিত আসন নেই’ (রিকোয়েস্টেড সিট নট অ্যাভেইলেবল)। অর্থাৎ টিকেট শেষ।

পলিয়ার ওয়াহিদ বলেন, দুই দিন ধরে চেষ্টা করেও টিকিটযুদ্ধে জয়ী হতে পারিনি।

করোনা সংক্রমণের মধ্যেই রাজধানীর মানুষজন প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে একটু আগেভাগেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঈদযাত্রায় ট্রেন নিরাপদ বলে টিকিটের চাহিদা সবসময় তুঙ্গে থাকে।

করোনার কারণে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক ট্রেন চলাচল করছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আসন সংখ্যা কমানোর সঙ্গে সকল টিকিট অনলাইনে বিক্রির নির্দেশ দিয়েছে রেলওয়ে মন্ত্রণালয়। ট্রেন এবং আসনের সংখ্যা কম হওয়ায় টিকিট প্রত্যাশীদের বাড়তি চাপ রয়েছে। তবে প্রতিদিন ভোর ৬টায় বিক্রি শুরু হওয়ার দেড়-দুই মিনিটের মধ্যে সব টিকিট শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।

এমনি একজন ইয়াসিন আলী। তিনি জানান, টিকিট কাটার জন্য রাত ৪টায় ঘুম থেকে উঠে অ্যাপ নিয়ে বসি। কিন্তু নির্ধারিত সকাল ৬টার সময়ে অ্যাপ অচল হয়ে যাচ্ছে অটোমেটিক্যালি। লোডিং দেখায় আর হ্যাঙ হয়ে থাকে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিট বিক্রির সহযোগী বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস লি. (সিএনএস) এর পরিচালক ইকরাম ইকবাল জানান, এবার ট্রেনের সংখ্যা কম কিন্তু টিকিটের চাহিদা বেশি হওয়ার ফলে সবাই টিকিট পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, অল্প টিকিটের বিপরীতে বহু সংখ্যক মানুষ এক সঙ্গে সার্ভারে ক্লিক করছে অনবরত। এ কারণে হয়ত সার্ভারের কিছু সমস্যা হতে পারে। তবে আমাদের প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি করার কথা রয়েছে আমরা সেই পরিমাণ বিক্রি করতে পারছি। তাছাড়া করোনার কারণে প্রতিটি ট্রেনে মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি হচ্ছে ফলে টিকিটের চাহিদাও বেশি। প্রতিদিন যে পরিমাণ টিকিট বিক্রির জন্য বরাদ্দ তার চেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষ টিকিটের জন্য সার্ভারে ক্লিক করেই যাচ্ছেন ফলে বেশীরভাগই টিকিট বঞ্চিত হচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, এবার সব গন্তব্যেরই একটির বেশি ট্রেন নাই ফলে চাহিদা অনেক। তাই প্রত্যাশীদের বেশির ভাগই টিকিট পাচ্ছেন না। এখানে সিএনএস বিডির কোনো কারসাজি নেই।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত