খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিবাদ ও আমাদের বক্তব্য
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২০, ২১:১৩ আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২০, ২১:৩৩
গত ২৪ জুলাই ২০২০ বাংলাদেশ জার্নালের অনলাইনে ‘চিকিৎসকের একটি ভুলে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নাসরিন’ শিরোনামে তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে দিনাজপুরের খানসামা (পাকেরহাট) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবাদলিপি বাংলাদেশ জার্নালে পাঠানো হয়েছে।
তাদের পাঠানো প্রতিবাদলিপিতে সংবাদটির তথ্যকে ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মনগড়া বলে উল্লেখ করা হয়। সংবাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শামসুদ্দোহা মুকুলকে নিয়ে যেসব অভিযোগের কথা উল্লেখ করা হয় সেগুলোকে সম্পূর্ণ অসত্য বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
তাদের প্রতিবাদলিপিটি হুবহু উল্লেখ করা হলো-
প্রিয় মহোদয়, আপনাদের দ্বারা প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘বাংলাদেশ জার্নাল’-এ দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. শামসুদ্দোহা মুকুলের নাম জড়িয়ে ‘মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আর্থিক লেনদেন ও রোগীর সাথে খারাপ আচরণ’ বিষয়ে যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে তা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শামসুদ্দোহা মুকুলকে জড়িয়ে একজন প্রসূতি মায়ের ভুল সিজার, মেডিকেল সার্টিফিকেটে আর্থিক লেনদেন ও রোগীর সাথে খারাপ আচরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অসত্য ও আপত্তিকর।
এ প্রসঙ্গে কর্তৃপক্ষের বক্তব্য- সংবাদটিতে যে নারীর সিজারের কথা উল্লেখ রয়েছে সেই নারীর সিজার ও কোন ধরনের পরামর্শ পর্যন্তও মেডিকেল অফিসার ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল দেননি। সেই মহিলার সিজার করার সাথে তাঁর কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এছাড়াও মেডিকেল সার্টিফিকেট আদান প্রদানে আর্থিক লেনদেন ও রোগীর সাথে খারাপ আচরণে হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারী জড়িত নয়। কিন্তু উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও মনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
আপনার পত্রিকা আপনি ডা. শামসুদ্দোহা মুকুল, মেডিকেল সার্টিফিকেট ও রোগীর সাথে খারাপ আচরণের কথা উল্লেখ করেছেন। এ স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর বরাবর প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ করা হল। সংবাদ স্বপক্ষে তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অন্যদিকে তথ্য প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দেশের প্রচলিত আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবে। এ ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক করা হলো।
ডা. আবু রেজা যোই মাহমুদুল হক
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা
সংবাদের পক্ষে বাংলাদেশ জার্নালের বক্তব্য-
প্রকাশিত সংবাদটি ভুক্তভোগী এবং তার স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে। সংবাদে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীরা যেসব অভিযোগ করেন, সেগুলোই আমাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আর্থিক লেনদেন ও রোগীর সাথে খারাপ আচরণ নিয়ে যে তথ্য প্রতিবেদনে দেয়া হয়েছে তাও ভুক্তভোগীর সূত্রে পাওয়া।
আমরা ভুক্তভোগীর সেসব বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ড তুলে ধরছি-
ভুক্তভোগী নাসরিনের স্বামীর বক্তব্য
নাসরিনের বক্তব্য
মেডিকেল সার্টিফিকেট নিয়ে আর্থিক লেনদেন ও রোগীর সাথে খারাপ আচরণ নিয়ে বক্তব্য