ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪০ মিনিট আগে
শিরোনাম

দেশে চীনা ভ্যাকসিন পরীক্ষা আটকে যাওয়ার কারণ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২০, ১৩:১০

দেশে চীনা ভ্যাকসিন পরীক্ষা আটকে যাওয়ার কারণ

করোনা প্রতিরোধে চীনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা বাংলাদেশে আটকে গেছে। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

তবে চীনের কোম্পানি ঢাকায় আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বা আইসিডিডিআর, বির মাধ্যমে পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল। এই প্রস্তুতি পর্বে বাংলাদেশের মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা বিএমআরসির অনুমতিও রয়েছে।

অল্প সময়ের মধ্যে আইসিডিডিআর, বি সাতটি হাসপাতালের নির্দিষ্ট করা মানুষের মাঝে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করবে- এমন ধারণাও দেয় হয়। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানানয়, টিকার ট্রায়াল দুই রাষ্ট্রের বিষয় এবং তাতে সিদ্ধান্ত নিতে সময়ের প্রয়োজন। এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে চীনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুল মান্নান বলেন, বিষয়টি নিয়ে চীন সরকার বাংলাদেশ সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না জানানোর কারণে এ বিষয়ে কোন আলোচনা বা অগ্রগতি নেই। আমাদের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগকে বা স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে অফিসিয়ালি কোন চিঠিপত্র কিন্তু কেউ পাঠায়নি, বা আমরা কারও চিঠি পাইনি বা গ্রহণ করিনি। এসময় অন্য দেশের গবেষণার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত প্রয়োজন বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, একটি কথা বলা যায়, চাইনিজ কোন টিম এসে যদি ট্রায়ালটা করতে চায়, তাহলে এখানে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর্যায় থেকে একটা উদ্যোগ নেয়ার কথা। ঐ চ্যানেল থেকেই কিন্তু কাজটা করার কথা এবং সরকারের একেবারে হাইয়েস্ট লেভেল থেকে সিদ্ধান্তটা হওয়ার কথা। আমার মনে হয় যে, আমরা এখনও সেভাবে অফিসিয়ালি কিছু পাইনি বা কোন অগ্রগতি নেই।

বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পরীক্ষার নিয়মের ব্যাপারে সরকারের বিশেষজ্ঞ বা কারিগরি কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো: শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের দেশে কোন ভ্যাকসিন বা ওষুধের গবেষণা যদি করতে হয়, তাহলে গবেষকদল প্রথমে একটা ভাল প্রটোকল তৈরি করবে। সেই প্রটোকল তারা বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা বিএমআরসি'র কাছে জমা দেবে। বিএমআরসি এথিক্যাল ক্লিয়ারেন্স দেবে। এটা একটা ধাপ।

দ্বিতীয় ধাপটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ভ্যাকসিনতো একটা প্রডাক্ট। এটা মানুষের দেহে প্রয়োগ করবে। ফলে কোন মেডিকেল প্রডাক্ট বা গবেষণার জিনিস বা ঔষধ বাংলাদেশে আনতে হলে ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন নিতে হয়।

এদিকে আইসিডিডিআরবি'র একাধিক সূত্র জানিয়েছে, প্রস্তুতি পর্বে জটিলতা দেখা দেয়ায় বিষয়টিতে তাদের দিক থেকে এখনই নতুন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত