ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

গোপালগঞ্জে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

  গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২০, ১৪:৫৩

গোপালগঞ্জে প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা

গোপালগঞ্জে মধুমতি, কুমার নদ, শৈলদহ, বাঘিয়ারকুল, ঘাঘর নদী ও এমবিআর চ্যানেলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে জেলার ২০টি গ্রামের ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মধুমতি নদী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার এবং মধুমতি বিলরুট চ্যানেলে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিন্টার বেড়ে ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

নতুন করে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের কলাবাড়ি ও বৈকন্ঠপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, ব্রিজ-কালভার্ট, পোল্ট্রি ফার্ম তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে মরিচসহ শাক-সবজির ক্ষেত।বন্যা কবলিত ৫’শ পরিবার বিভিন্ন স্কুল ও রাস্তার পাশে কুঁড়েঘর বানিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সিংগা, হাতিয়াড়া, পারুলিয়া, মাহমুদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ছোট-বড় প্রায় ৬ শতাধিক মৎস্য ঘের ভেসে গেছে। অনেকে পুকুরের চারপাশে জাল ও বাঁশের বানা দিয়ে আটকে রাখার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। এতে আনুমানিক প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে মৎস্য চাষী। এ ছাড়া অবকাঠামোগতও বেশ ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত অধিকাংশ মৎস্য চাষীরা বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও, সমিতি ও স্থানীয় সুদ কারবারিদের কাছ থেকে ধার-দেনা করে টাকা এনে মাছ চাষ করেছেন। বন্যায় মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

উপজেলার হাতিয়াড়া গ্রামের উপজেলার মৎস্যচাষী মো: ছাওবান বলেন, তিনি দুটি পুকুরে রুই, কাতলা, তেলাপিয়া, পাংগাস, পুঁটিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছিলেন। বন্যায় পুকুর তলিয়ে সম্পূর্ণ মাছ ভেসে গেছে। জাল দিয়ে আটকাতেও সুযোগ পায়নি। এতে তার ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি সরকারিভাবে আর্থিক সহযোগিতার দাবি করেন।

কাশিয়ানী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কর্মকর্তা এস এম শাহজাহান সিরাজ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষীদের তালিকা করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এবং চাষিদের সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হবে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

কাশিয়ানী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষীদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। বন্যাকবলিত পরিবারের মাঝে সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক সাহিদা সুলতানা জানান, বন্যাকলিতদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দুর্গতদের সাহায্যের জন্য ৩শ’ মেট্রিক টন চাল এবং শিশু, গো-খাদ্য ও শুকনা খাবারের জন্য ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত