ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুলিশের সহায়তায় ১ ঘণ্টায় মেয়েকে ফিরে পেলেন মা

  রাজবাড়ী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২০, ২১:০০

পুলিশের সহায়তায় ১ ঘণ্টায় মেয়েকে ফিরে পেলেন মা

তিশা আক্তার নিঝুম। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মায়ের হাত ধরে ঢাকায় যাওয়ার পথে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট এলাকায় হারিয়ে যায় ছোট্ট এই মেয়েটি।

মা জান্নাত বেগম হারানো মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে অনেকটা পাগলের মতো হয়ে যান। দৌলতদিয়া ট্রাফিক পুলিশ কন্টোল রুমে গিয়ে পুলিশের আশ্রয় নেন। পুলিশের সহযোগিতায় এক ঘণ্টার মধ্যে হারানো মেয়ে তিশা আক্তার নিঝুমকে ফিরে পেলেন মা।

বৃহস্পতিবার সোয়া ১২টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে নামেন মা ও মেয়ে। গাড়ি থেকে নেমে লঞ্চঘাটের উদ্দ্যেশে পায়ে হেঁটে যেতে শুরু করেন তারা। কিন্ত মাঝ রাস্তায় মাস্ক কিনতে একটি দোকানে যান। মেয়ে নিঝুম হাঁটতে থাকে। ৫ মিনিটের ব্যবধানে মেয়ে তিশা চোখের আড়াল হয়ে যায়। শুধু চোখের আরাল নয়। তাকে কোথাও খুঁজেও পাওয়া যাচ্ছিল না।

এ অবস্থায় মা জান্নাত বেগম হাউমাউ করে কান্না শুরু করলেন। দোকানে দোকানে গিয়ে মেয়েকে খুঁজতে থাকেন। কোথাও পাচ্ছেন না। মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে হতাশ হয়ে যান তিনি। নিরুপায় হয়ে এলামেলো ঘুরতে থাকেন এদিক সেদিকে।

এমন সময় স্থানীয় লোকজন পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার পরামর্শ দিলেন। মা জান্নাত বেগম আশা নিয়ে ছুটে গেলেন পুলিশের কাছে। দৌলতদিয়া ট্রাফিক পুলিশ কন্টোল রুমে তখন বসে ছিলেন রাজবাড়ীর এডিশনাল পুলশ সুপার সালাউদ্দিন আহমদ। কান্নারত অবস্থায় দেখে পুলিশ অফিসার তাকে বসতে দিয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলেন। তিনি পুলিশের কাছে সব কিছু খুলে বললেন।

তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলেন রাজবাড়ী এডিশনাল এসপি সালাউদ্দিন আহমদ। দৌলতদিয়ায় কর্মরত সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মেসেজ দিলেন তিনি। সবাই মেয়েটিকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে গেলেন।

৮টি সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকাকে। সিসি ক্যামেরার সকল ফুটেজ দেখতে থাকেন এডিশনাল এসপি সালাউদ্দিন আহমদ। সিসি ক্যামেরার সহযোগিতায় মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে শিশু মেয়েটিকে খুঁজে পেলেন পুলিশ। ফিরিয়ে দিলেন মায়ের হাতে।

পরবর্তীতে মা-মেয়েকে পুলিশের সহযোগিতায় নবীনগর পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। খুঁজে পাওয়া মেয়েটিকে কিছু শুকনো খাবার দেন সালাউদ্দিন আহমদ।

ফিরে পাওয়া মেয়ে তিশার মা জান্নাত বেগম জানান, নবীনগর বাইপাইল যাওয়ার উদ্দ্যেশে এসেছেন দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায়। কিন্ত ঘাটে এসে হঠাৎ একটি দোকানে যেতেই তার মেয়েকে হারিয়ে ফেলেন। এডিশনাল এসপি সালাউদ্দিন আহমদের সহযোগিতায় মেয়েকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হন তিনি। মেয়েকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ বলে বোঝানো ছিল তার নির্বাক হয়ে যাওয়া।

সালাউদ্দিন আহমদ জানান, পুলিশের এটা দায়িত্ব ছিল। আমরা শুধু আন্তরিকতা দিয়ে আমাদের দায়িত্বটুকু পালন করেছি মাত্র। কাজের মধ্যে আন্তরিকতা থাকলে যে কোন কাজে সফলতা পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত