কয়েদি নিখোঁজ: ১১ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২০, ১৮:৩৮ আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২০, ১৮:৫৭
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক নিখোঁজের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ১১ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। প্রধান কারারক্ষীসহ ছয়জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পাঁচ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও অতিরিক্ত আইজি প্রিজন্স কর্নেল আবরার হোসেনকে প্রধান করে তিনি সদস্যর তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে বলে কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানিয়েছে।
আজ শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেলে কারা কর্তৃপক্ষের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র আরো জানিয়েছে, তদন্ত কমিটিকে ৩ কর্ম দিবস সময় দেয়া হয়েছে। তারা আগামীকাল থেকেই কাজ শুরু করবেন।
এ বিষয়ে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। এখনও কারাগারের ভেতরে অনুসন্ধান চলছে। তবে তিনি পালিয়েও যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করেন আইজি প্রিজন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লকআপের পর থেকে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে কারাগারের ভেতরে কোথাও কয়েদি আবু বকর সিদ্দিককে পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় কারারক্ষীরা জড়িত থাকতে পারে বা তাদের অবহেলার কারণেও বন্দী পালিয়ে যেতে পারে। আমরা তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। সাতক্ষীরায় তার বাড়িতে মানুষ গেছে। সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
আবু বকর সিদ্দিক ২০১১ সালে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এসেছিলেন ফাঁসির আসামি হিসেবে। ২০১২ সালের ২৭ জুলাই তার সাজা সংশোধন করে তাকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়।
কাশিমপুর কারাগার সূত্রে জানা গেছে, আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার আবাদ চণ্ডীপুরে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কাশিমপুর কারাগারের একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৫ সালের ১৩ মে সন্ধ্যায়ও তিনি আত্মগোপন করে সেল এলাকায় সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে লুকিয়ে ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি শেষে পরদিন তাকে একটি ট্যাংকের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস/ওয়াইএ