ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কায় প্রস্তুতির নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২০, ১৭:১৫  
আপডেট :
 ১০ আগস্ট ২০২০, ১৮:২৩

দীর্ঘস্থায়ী বন্যার আশঙ্কায় প্রস্তুতির নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হতে পারে; আশঙ্কায় পূর্ব প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারপ্রধান এ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের খন্দকার আনোয়ার বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকে বন্যা ও পুনর্বাসন কর্মসূচি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে পানি নেমে যাচ্ছে। আজকে যমুনা নদীর পানি বঙ্গবন্ধু ব্রিজের ওখানে পানি অলরেডি বিপৎসীমার বেশ নিচে চলে গেছে। পদ্মা নদীর পানির স্তর ও গতি কমেছে। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রেডিকশন আছে যে আপে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পার্টিকুলারলি এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রস্তুত থাকতে হবে যাতে একটা লং টার্ম বন্যা...এই যে পানিটা যাচ্ছে এটাও ১৮/২০ দিন হয়ে গেছে। ১৮/২০ দিন পর পানিটা অনেকটা নিচে নেমে যাচ্ছে। যেটা প্রধানমন্ত্রী বিশেষ করে সতর্ক করলেন। ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি যদি কোনো বন্যা আসে তাহলে সেটা কিন্তু লং টাইমে এটা প্রিভেইল করার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং আমাদের প্রস্তুতিটা ওইখানে রাখতে হবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রম বিশেষ করে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের আন্ডারে কিছু প্রোগ্রাম আছে, একটা প্রোজেক্ট আছে সেই প্রোজেক্টে তিনটি কম্পোনেন্টে ইমপ্লিমেন্ট করার কথা আছে। একটা হলো- ডিজস্টার ম্যানেজমেন্ট ঘরবাড়ি রিহ্যাবিলেটেশন করবে। আরেকটা হলো- স্থানীয় সরকার তাদের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো মেরামত করবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডকেও সেখানে ইনক্লুড করা আছে। সেখানে একটা বড় টাকা ধরা আছে যদি কোথাও নদীর বাঁধ ভেঙে যায় ওটাকে তাড়াতাড়ি মেরামত করার জন্য। সেই বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য আলাদা ম্যাসিভ এগ্রিকালচারাল রিহ্যাবিলেটেশন প্রোগ্রাম আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এজন্য প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন যে, আমনের বীজ যেহেতু নষ্ট হয়ে গেছে এজন্য একটু উঁচু জায়গায় করার জন্য। বিশেষ করে পানি সহিষ্ণু ভ্যারাইটি। রোপা আমনের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। রোপা আমন ঠিকভাবে হলে আমাদের সর্টেজ হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। সর্টেজ একচুয়ালি হবে না গতবারের তুলনায়, গতবার আমনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৮ লাখ টন, এবার লক্ষ্যমাত্রা ৩৬ লাখ টন। সেই তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে তবে গতবারের তুলনায় উৎপাদন আশা করা যাচ্ছে বেশি হবে।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত