সিনহা হত্যা: গ্রেপ্তার নুরুলের পরিবারের অপহরণ মামলা
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২০, ২৩:৩৭
মেজর (অব.) সিনহা হত্যায় সন্দেহজনক গ্রেপ্তার করা ৩ জনের মধ্যে নুরুল আমিনের মা বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নথিভুক্তের আগে র্যাবের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানতেন না বলে দাবি করেছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফয়সল।
ওসি জানান, খালেদা বেগম মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছিলেন তার ছেলে নুরুল আমিনকে কিছু লোক একটি সাদা মাইক্রোবাসযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। সাথে আয়াছ এবং নাজিমকেও নিয়ে গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে মেজর (অব.) সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মো. নুরুল আমিন, মো. আয়াছ ও নাজিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের কক্সবাজার আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
সিনহা নিহতের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সিনহা টেকনাফের মারিশ বনিয়ায় তথ্যচিত্রের শ্যুটিং শেষে ফেরার পথে তাদের ডাকাত সন্দেহে পুলিশকে প্রথম খবর দেয় মো. আমিন। আমিন, আয়াছ ও আজিমকে সিনহা হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে টেকনাফ থানায় এজাহারে পুলিশ উল্লেখ করেছিলো। ওই মামলার তদন্তভার সোমবার আদালত র্যাবের কাছে ন্যাস্ত করে।
টেকনাফের মেরিনড্রাইভ সড়কের বাহারছড়ায় ৩১ জুলাই রাতে পুলিশের গুলিতে সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হন। ভ্রমণবিষয়ক একটি তথ্যচিত্রের কাজ শেষে সিনহা ও তার সহকর্মী সিফাত মেরিনড্রাইভ রোড দিয়ে হিমছড়িতে তাদের রিসোর্টে ফিরছিলেন। সিনহার ব্যক্তিগত গাড়িতেই তারা দুজন মেরিনড্রাইভ দিয়ে টেকনাফ থেকে হিমছড়ির দিকে আসছিলেন। সিনহা নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাহারছড়ার শামলাপুরে পুলিশ চেকপোস্টে সিনহাকে গুলি করে ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী। এই সময় সিফাতকে আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় সিফাতকে প্রধান আসামি করে ওই রাতেই এসআই নন্দন দুলাল রক্ষিত বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে।
পরে মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় তার বোন শারমিন শাহরিয়ার বাদী হয়ে কক্সবাজারের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীকে প্রধান করে ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয় ওই মামলায়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে র্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে,আর
