প্রতারক লিটনকে খুঁজছে পুলিশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২০, ১৯:৪৪
চাঁদাবাজি, প্রতারণা, সাইবার অপরাধসহ একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আলফাডাঙ্গার প্রতারক সিকদার লিটনকে খুঁজছে পুলিশ। শিকদার লিটনের আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের চর আজমপুর গ্রামের সিদ্দিক শিকদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এমন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে জড়িত নয় সিকদার লিটন। চাঁদাবাজি, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকি, সাইবার অপরাধসহ প্রায় ডজনখানেক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তাছাড়া নানান অভিযোগে লিটনের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় দুই ডজনের বেশি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) আছে।
জানা যায়, সিকদার লিটন স্থানীয়দের কাছে তিনি প্রতারক ও ছদ্মবেশী অপরাধী বলেই বেশি পরিচিত। এলাকার মানুষকে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন শিকদার লিটন। চাকরি তো দূরের কথা, টাকা চাইতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এসব অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলাও আছে তার বিরুদ্ধে। এসব কারণে আলফাডাঙ্গা ও টগরবন্দ থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে আস্তানা গেড়েছেন। বেশিদিন এক নম্বরও ব্যবহার করেন না।
গোয়েন্দা সূত্র জানা গেছে, এলাকা থেকে বিতাড়িত হবার পর রাজধানী ছাড়াও খুলনার সীমান্ত এলাকা, পাবনাসহ বিভিন্ন জায়গা অবস্থায় নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। বর্তমানে ভাঙ্গা এবং গোপালগঞ্জে তার অবস্থান বলে জানা গেছে।
এদিকে সম্প্রতি তার প্রতারণার বিভিন্ন খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলে সিকদার লিটন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে গুজব ছড়াতে থাকেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক এমপি মো. আব্দুর রহমান, আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেন, আলফাডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সাইফারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটাচ্ছেন। এসব অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় সাইবার অপরাধে মামলা হয়েছে। যা আদালতের নির্দেশে তদন্তাধীন।
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, প্রতারণার অভিযোগে সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানায় ৫/৭টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া একাধিক সাইবার মামলার তদন্ত করছে থানা পুলিশ। খুবই চালাক এই প্রতারক। প্রতিনিয়ত নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেন। যেখানেই অবস্থান করেন সেখানেই মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে সরে পড়েন। বহুরূপী এই প্রতারক লিটন।
এ বিষয়ে মধুখালী অঞ্চলের সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান বলেন, সিকদার লিটন একজন টাউট। তার নামে একাধিক ওয়ারেন্ট আছে। তাকে এলাকায় পাওয়া যাচ্ছে না। পুলিশ তাকে খুঁজছে। তার অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ