ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

বেঁধে মারধর-টানাহেঁচড়ায় মাদকাসক্ত যুবক নিহত

  বরিশাল প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:২১

বেঁধে মারধর-টানাহেঁচড়ায় মাদকাসক্ত যুবক নিহত

বরিশাল নগরীর রূপাতলী র‌্যাব-৮ সদর দপ্তরের সামনে মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘ড্রিমলাইফ’র কর্মচারীদের হাতে সুমন খান (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। রাতেই নিহতের ছোট ভাই মো. নোমান বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। সুমন ওই এলাকার মৃত ছত্তার খানের ছেলে।

এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- উজ্জ্বল সমাদ্দার, রায়হান, ফজলে রাব্বি, বায়জিদ হোসেন ও আবুল কালাম।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলায় আটককৃতদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।

স্থানীয় কাউন্সিলর জাকির মোল্লা জানান, সুমন একই এলাকায় ড্রিমলাইফ নামক মাদকাসক্ত কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি ছিলেন। পরবর্তীতে পরিবারের অনুরোধে তাকে বাড়ি যেতে দেয়া হয়। কিন্তু বাড়ি আসার পর আগের মতোই আচরণ করে। পরে পরিবার থেকে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনকে খবর দেয়া হয়।

বুধবার সন্ধ্যায় সুমনকে ধরে আনতে মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে লোকজন যায়। তাদের সাথে সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সুমনের স্বজনদের সহায়তায় রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা হয়। এ সময় মারতে মারতে টানা-হ্যাচরা করে আনার চেষ্টা চালায় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীরা। এক পর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে সুমন।

তখন এলাকাবাসী সুমনের কাছে গিয়ে বুঝতে পরে সে মারা গেছে। এলাকাবাসী ওই কর্মচারীদের ঘিরে রাখে। বিষয়টি র‌্যাব-৮ এর নজরে আসলে তারা ৫ কর্মচারীকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করে। সুমনকে উদ্ধার করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহতের মা রিজিয়া বেগম জানান, সুমন অপ্রকৃতিস্থ ও মাদকসেবী থাকায় প্রায়শই আমাদের কাছে টাকা চাইতো। না দিলে সবাইকে মারধর করতো। তাকে এর আগে একবার পরিবার থেকে আবেদন করে কারাগারে রাখা হয়। ছয় মাস আগে ওই নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। একমাস আগে তাকে নিয়ে আসা হলে পুনরায় সে আগের মতোই আচরণ শুরু করে। পরে বুধবার দুপুরে পরিবার থেকে নিরাময় কেন্দ্রে আবেদন জানানো হয়।

তিনি বলেন, যেভাবে সুমনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা মেনে নেয়ার মতো ছিলো না। তাদের অত্যাচারেই আমার ছেলে মারা গেছে।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ৫ কর্মচারীকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত