ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভাতিজা হত্যার দায়ে চাচার ফাঁসি

  জামালপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:১০

ভাতিজা হত্যার দায়ে চাচার ফাঁসি

জামালপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে চাচার হাতে ভাতিজা হত্যা মামলায় অর্থদণ্ডসহ চাচার ফাঁসি ও ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

বুধবার দুপুরে জেলা দায়রা জজ আদালতের জেলা দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খাঁন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রায় প্রদান করেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের কুমারগাতী গ্রামের মৃত তোরাপ প্রামাণিকের ছেলে আনছার আলী প্রামাণিক (৪০)। তার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারার অপরাধে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়।

একই এলাকার মৃত তোরাপ প্রামাণিকের ছেলে কলম প্রামাণিক (৪৫), কলম প্রামাণিকের ছেলে শাহীন (২৩) ও সাইদুল (১৯), কলম প্রামাণিকের স্ত্রী শাইবানু (৪০) ও আনছার আলী প্রামাণিকের স্ত্রী শাবজান বেগমকে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে প্রকাশ, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে কুমারগাতী গ্রামের মৃত তোরাপ প্রামাণিকের ছেলে মো. আ. রইচ প্রামাণিকের সাথে তার ভাইদের সাথে বিরোধ চলে চলছিল। এই বিরোধের জের ধরে ২০০৭ সালের ১৬ জুন সকাল ৯টার দিকে চাচা আনছার আলী প্রামাণিকের সাথে আ. রইচের ছেলে ভাতিজা মমিনের ঝগড়া বাধে।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আনছার প্রামাণিকের নেতৃত্বে তার পরিবারের লোকজন রইচের বাড়িতে হামলা চালায়। আনছার আলী তার হাতে থাকা কুড়াল দিয়ে মমিনের মাথায় কোপ দেন। অন্য আসামিরা লাঠি দিয়ে মমিনের মাথাসহ সারা শরীরে আঘাত করে। গুরুতর আহত মমিন (২২) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০০৭ সালের ১৮ জুন সকাল সাড়ে ৫টায় মারা যান।

২০০৭ সালের ১৮ জুন রইচ উদ্দিন বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় আনছার আলী প্রামানিককে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বিবাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল করিম শাহজাহান ও রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন পিপি অ্যাডভোকেট নির্মল কান্তি ভদ্র।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত