এসপি মাসুদকে আসামি করার আবেদন খারিজ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:০০ আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৪১
সিনহা হত্যা মামলায় কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে এ আবেদন করেন শারমিন শাহরিয়ার। শুনানি শেষে বিচারক আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম। বাদীর আবেদনে পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগ আনা হয়েছিলো।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন মেজর সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করেই চলেছেন। তিনি সিনহা হত্যা মামলার আসামি বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকতকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন। আসামিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন তার দাপ্তরিক কার্যক্ষমতা আসামিদের পক্ষে কাজে লাগাচ্ছেন। তাই তাকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য একটি ফৌজদারি আবেদন করেছি।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন মামলার বাদী সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।
তিনি বলেন, আমার ভাইকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ভিকটিমের সিনহার বিরুদ্ধে অশ্রদ্ধা, অবমাননাকর ও মানহানিকর প্রতিক্রিয়া করে চলেছেন। আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য কুপরামর্শ দিয়ে চলেছন।
শারমীন শাহরিয়া ফেরদৌস জানান, এসপি এবিএম মাসুদ হোসেন ঘটনার শুরু থেকেই আসামিদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। উনি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। মেজ সিনহার মানহানি করেছেন। ওই সময় তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মেজর সিনহার গাড়িতে তিনি ইয়াবা ও মাদকদ্রব্য পেয়েছিলেন। একজন পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি এটি বলতে পারেন না। তিনি তদন্তকাজে প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করে চলেছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের ফেরার পথে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এরপর গত ৫ আগস্ট টেকনাফ থানার পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে তদন্ত সংস্থা র্যাব। তাদের মধ্যে ১২ জন ইতোমধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে।
আরও পড়ুন- এসপি মাসুদকে আসামি করাতে আদালতে আবেদন
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে