লঞ্চে ধর্ষণের পর হত্যা, পরিচয় মিলেছে সেই নারীর
বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:০৩ আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৫৪
এমভি পারাবত-১১ লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার শিকার নারীর পরিচয় মিলেছে। ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারীর মরদেহ শনাক্তকারী পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় বরিশাল সদর নৌ বন্দর থানার এসআই অলক চৌধুরী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি আবদুল্লাহ-আল মামুন জানান, নিহত নারীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী (২৯)। তার বাবার নাম আব্দুল লতিফ মিয়া। দুই শিশু ছেলের জননী লাবনীর স্বামী একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান। বাবা ও মায়ের সাথে ঢাকার পল্লবী-২ নম্বর এলাকায় থাকতেন তিনি। তাদের গ্রামের বাড়ি ভাঙ্গা এলাকায়। লাবনী উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলো। এক ভাই তিন বোনের মধ্যে লাবনী সবার ছোট।
ওসি আরো জানান, চাকরির প্রলোভনে গত সোমবার ঢাকার সদরঘাট থেকে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে লঞ্চযোগে বরিশাল আসছিলো লাবনী। ওই দিন রাত ৯টা পর্যন্ত লাবনীর সাথে ফোনে কথা হয় তার বাবার। পরদিন সোমবার সকালে লঞ্চের কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
তবে তার সাথে থাকা ওড়না ও ব্যাগসহ অন্যান্য আলামত নিয়ে যাওয়ায় পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই নারীর পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত আঙ্গুলের ছাপ অনুযায়ী তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ। সে অনুযায়ী তার স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের হিমঘরে ওই নারীর মরদেহ শনাক্ত করে তার বাবা এবং ভাই মোক্তার মিয়া। অভিযুক্ত ঘাতককে শনাক্ত করতে পারলেও তদন্তের স্বার্থে তার পরিচয় প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন ওসি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ঢাকা থেকে বরিশালগামী পারাবত-১১ লঞ্চের ৩৯১ নম্বর কেবিন থেকে উদ্ধার করা হয় ওই নারীর মরদেহ। এ ঘটনায় এ ঘটনায় ওইদিনই অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: লঞ্চের কেবিনে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে