ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

সেতুর মাঝে গর্ত, ঝুঁকিতে যানবাহন

  রুপগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:১২

সেতুর মাঝে গর্ত, ঝুঁকিতে যানবাহন

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার আতাদী এলাকায় একটি সেতুর মাঝখানে পাটাতনের কংক্রিটের ঢালাই খসে গিয়ে বড় আকারের গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে শুধু লোহার রডগুলো বেরিয়ে আছে। এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলছে যান চলাচল। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি সংস্কার হচ্ছে না। অনেকাংশের প্লাস্টার খসে পড়েছে। মাঝখানে বিশাল গর্ত। ঝুঁকি নিয়েই চলছে যানবাহন। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা। সেতুটি যেন অভিভাবকহীন, দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার উচিতপুরা ইউনিয়নের পূর্ব আতাদী এলাকায় ফরিগাঙ নামে এ খালের ওপর নির্মিত সেতুটির মাঝখানে পাটাতনের ঢালাই খালে খসে পড়ে গেছে। এতে বেশ বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেই গর্তের পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেলের মতো দুই চাকার যান চলছে।

এছাড়াও রিকশা চললে পেছনের একটি চাকা গর্তে পড়ে যায়। এই ছোট যানগুলো কোনোরকমে চলাচল করতে পারলেও প্রাইভেটকার, ট্রাকসহ বড় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। রাতের অন্ধকারে মোটরসাইকেল, রিকশাসহ ছোট যানগুলোও গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আড়াইহাজার উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, সেতুটি সংস্কারের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে সংস্কার কাজ শুরু করা যাবে। তবে কবে নাগাদ এ কাজ শুরু হতে পারে এর কোনো সঠিক উত্তর সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি।

আতাদী এলাকার এনামুল হক বলেন, নব্বই দশকে নির্মিত এই সেতুর ঢালাই কয়েক মাস আগে খসে পড়তে শুরু করে। ধীরে ধীরে তা বিরাট গোলাকৃতি আকার ধারণ করে। রাতে অন্ধকারে সেতুর খসে পড়া অংশটি দেখতে না পেয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। সেতুটি যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তাই দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের জন্য সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাই।

ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা আব্বাস মোল্লা বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে গেলে উচিতপুরাসহ আশপাশের তিন ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচলের ফলে সেতুটি ভেঙে প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

অন্যদিকে অটোরিকশাচালক আকবর হোসেন জানান, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু দিয়ে ছোট যান ছাড়াও প্রতিদিন শত শত প্রাইভেটকার, ট্রাক, অটোরিকশা চলাচল করত। ঢালাই খসে পড়ে গর্ত হওয়ার কারণে বড় যান চলাচল করতে পারছে না। এতে আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সেতুটি এখন এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে, এটি ভেঙে দ্রুত নতুন সেতু নির্মাণ না করলে যেকোনো সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।

উপজেলা প্রকৌশলী নাশির উদ্দিন বলেন, সরকারি খালের ওপর এই সেতুটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ঢালাই খসে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই পুরো সেতু ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই এ ব্যপারে দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত