ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

এক নজরে আল্লামা শফীর জীবনী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৫০

এক নজরে আল্লামা শফীর জীবনী
ফাইল ছবি

শাহ আহমদ শফী। আল্লামা শাহ আহমদ শফী নামেও পরিচিত তিনি। একজন বাংলাদেশি ইসলামি ব্যক্তিত্ব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত আমীর। তিনি একইসাথে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামের হাটহাজারীর মহাপরিচালকও ছিলেন।

শফী, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার পাখিয়ারটিলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম এবং ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় শিক্ষালাভ করেন। আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলামে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। ২০১০ সালে হেফাজতে ইসলাম নামে একটি ধর্মীয় সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন শফী।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর আহমদ শফীর পদত্যাগ এবং তার ছেলে আনাস মাদানীকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কারসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে দারুল উলুম হাটহাজারীর ছাত্ররা আন্দোলন শুরু করে।

গতকাল রাতে আল্লামা শাহ আহমদ শফী বিক্ষোভের মুখে হাটহাজারীর মাদ্রাসার পরিচালকের পদ ছেড়েছেন। তার ছেলে আনাস মাদানীকেও মাদ্রাসার শিক্ষকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। গত দু’দিন ধরে ছাত্র বিক্ষোভের মুখে মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি বা শূরা কমিটির বৈঠকে শফী পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের কারণ দেখিয়ে সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে। ছাত্ররা সরকারের এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যায়, আহমদ শফী পদত্যাগ করলে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

শফী ২০০৯ সালে আজিজুল হক ও অন্যান্য সিনিয়র ইসলামী ব্যক্তিদের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি একটি যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন, যেখানে ইসলামের নামে সন্ত্রাস ও জঙ্গি কার্যক্রমের নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।

শফীর দেয়া বিভিন্ন বক্তব্য নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রামের তার দেয়া একটি বক্তৃতায় নারীদের প্রতি অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার ও তাদের শিক্ষাগ্রহণের নিরুত্সাহিত করার নির্দেশ প্রদানের অভিযোগে বিভিন্ন নারী সংগঠন, বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ এবং জনসাধারণ কর্তৃক সমালোচনার মুখে পড়েন।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন ও ভাবধারার এবং রাজনৈতিক দলের মানুষের কাছেও বিতর্কিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহমদ শফীর এই বক্তৃতার সমালোচনা করেন। হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে আহমদ শফীর বক্তব্যকে গণমাধ্যমে অপপ্রচার হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল কক্সবাজারে একটি বক্তৃতায় তিনি নাস্তিকদের হত্যার কথা বলেন। যার প্রেক্ষিতে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। মোবাইল ফোন তৈরি করে ইহুদিরা সমাজকে ধ্বংস করছে বলে মন্তব্য করার পর নির্বাসিতা লেখিকা ও বিতর্কিত কলামিস্ট তসলিমা নাসরিন তার বক্তব্যের সমালোচনা করেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় আল্লামা শাহ আহমদ শফী মারা যান। শফী দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

আরো পড়ুন:

আল্লামা শফী মারা গেছেন

স্বেচ্ছায় পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন আল্লামা শফী

কেএস/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত