ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

বৃষ্টি হলেই বান!

  রফিকুল ইসলাম, রংপুর

প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:২২

বৃষ্টি হলেই বান!

আকাশ মেঘলা কিংবা বৃষ্টি। যাই হোক, বাসা থেকে বের হবেন কীভাবে বা অফিস কিংবা কর্মস্থল থেকে ফিরবেন বাসায় এই ভাবনা আগেই নেন নগরবাসী। কারণ বৃষ্টি হলেই যেন পাড়ায় পাড়ায় বানের জলের মতো পানির স্রোত যায়। কমপক্ষে ৩৬ ঘণ্টা পানি স্থায়ী হয় পাড়ার সড়কগুলোতে। তাই বাসা থেকে নেমে কর্মস্থলে বা বাসায় ফিরতে নতুন ভাবনা তৈরি হচ্ছে।

গেল কয়েক বছরের চেয়ে এবার কয়েকগুণ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে রংপুরে। যা এক যুগের রেকর্ড, বলছেন প্রবীণরা।

স্থানীয় প্রবীণরা বলছেন, বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা ছিলো না। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে দুর্ভোগ বাড়ছে। যেখানে সেখানে বাসা বাড়ি হচ্ছে। আবাদি জমিতেও প্রতিনিয়তই বহুতল ভবন হচ্ছে। ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সক্রিয় নয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু পাড়ায় পুরনো ড্রেন রয়েছে। যে ড্রেনের উচ্চতা দেড় ফিটেরও কম। কোথাও কোথাও ভরাট হয়েছে ড্রেনগুলো। অল্প বৃষ্টিতেই ড্রেনের উপর পানি উপচে পড়ে মূল সড়কে জমে যাচ্ছে। যা দীর্ঘ সময়েও নিষ্কাশন হয় না।

তবে, নগরীর প্রধান প্রধান সড়কের পাশে বড় বড় ড্রেন নির্মাণ করা হলেও অনেক এলাকায় ড্রেনের কাজ শেষ হয়নি। কোথাও কোথাও ড্রেনে পানি নামার মুখগুলো আবর্জনা পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে। সবমিলে বৃষ্টি মানেই জলাবদ্ধতা।

পুরনো ১৫টিসহ আরো ১৮টি মিলে মোট ৩৩ ওয়ার্ডের সিটি কর্পোরেশন। পুরাতন এবং বর্ধিত সব এলাকাতেই জলাবদ্ধতা বড় কারণ বলছেন ভুক্তভোগীরা।

নগরীর মেডিকেল মোড় এলাকার বাসিন্দা জমির উদ্দিন বলেন, এখন বৃষ্টি হলেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পানি জমে। যা দুঃখজনক।

নগরীর বোতলা এলাকার বাসিন্দা সোলায়মান আলী জানান, আমাদের এই এলাকায় গেলো ৩ বছর আগেও কৃষি জমি ছিলো। সেখানে নতুন নতুন বাসাবাড়ি হচ্ছে। মূল সড়কে ড্রেন থাকলেও এই এলাকাতে পাড়ায় পাড়ায় ড্রেনের ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক।

দ্রুত এসব ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সোলায়মান ও জমির উদ্দিনের মতো অনেকের।

রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, নগরজুড়েই শুধু ড্রেন নয় সড়কেরও উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত এসবের সমাধান হবে। সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত