নাটোরে ফের বন্যার ভয়াবহ রূপ
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২০, ১৩:৫৪
নাটোরের বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে জেলার দুই উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ। তৃতীয় দফার এ বন্যায় ডুবে গেছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল। তলিয়ে গেছে শত শত পুকুর। ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার সিংড়া পয়েন্টে আত্রাই নদীর পানি বিপদসীমার ১১১ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানির চাপে সড়ক ভেঙে পানি ঢুকছে জনবসতি এলাকায়।
সকালে পৌর এলাকার শোলাকুড়া এলাকার সড়ক ভেঙে গেছে। এতে সিংড়ার সাথে কলম, বিলদহর ও কালীগঞ্জের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
সিংড়া পৌর এলাকার ১২টি ওয়ার্ডেই পানি প্রবেশ করেছে। ভারী বর্ষণ আর উজানের ঢলে আত্রাই নদীর পানি আবারো বেড়ে গেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আত্রাই নদীতে বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে পেতে রাখা সুতি জালের কারণে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে পানি উপচে পড়ে নদীর দু’ধারে চাপ সৃষ্টি করছে। এতে একদিকে চলনবিলের বাঁধগুলো ভেঙে যাচ্ছে, অপরদিকে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ।
প্রশাসন বারবার অভিযান চালিয়ে এসব সুতি জাল অপসারণ করলেও, তারা আবারও জাল দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এসব কারণে পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি হওয়ায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
তাদের অভিযোগ, অল্প সংখ্যক মানুষের জন্য এলাকার কয়েক লাখ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব সুতি জাল অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে নলডাঙ্গার বারনই নদীর পানি আজও ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী রানা আহম্মেদ জানান, অতিবৃষ্টি এবং উজানের ঢলে ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে বারনই নদীর পানি। প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা।
এ দিকে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই দুই উপজেলায় ৩৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে