ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

কচু চাষে সফলতা

  কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২০, ১৭:০২

কচু চাষে সফলতা

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় একসময় বন-জঙ্গলের ডোবা কিংবা পরিত্যাক্ত স্থানে ব্যাপক পানিকচু জন্ম হতো। কিস্তু কালের বিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এখন আর তা চোখে পারে না।

উপজেলা নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ ঘরামী অন্যের জমি বর্গা নিয়ে ৩৯ শতকে কচু চাষ শুরু করেন। গত ৭ বছর ধরে তিনি কচু চাষ করে আসছেন। কচুতে প্রচুর ভিটামিন থাকায় সবজি হিসাবে বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কচু চাষে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। নেই তেমন পোকা ও রোগবালাই। তাই অনেক কৃষক এখন কচু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে ১৬৫ শতক জমি বর্গা নিয়ে উপজেলার সলিমপুর গ্রামের আলী আহম্মেদ ঘরামী বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানি জমে তা নষ্ট হয়ে যায়। এ সময় তার সংসার চালানো ও ছেলে মেয়ের পড়াশুনা করাতে হিমশিম খেতে হয়।

এরপর নিজের প্রচেষ্টায় সে ৩৯ শতক জমিতে পানিকচু চাষ শুরু করেন তিনি। তার ক্ষেত এখন সবুজে সমাহার। পানিকচু চাষ করে তার সংসারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা, এমটাই জানিয়েছে স্থানীয়রা।

কচু চাষি আলী আহম্মেদ ঘরামী বলেন, ক্ষেতের কচু বিক্রির শেষ সময় অগ্রহন মাস পর্যন্ত। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও সময় মতো বৃষ্টি হওয়ায় আশানুরূপ কচুর চাষ ভালো হয়েছে। এ বছর পানিকচু ও লতি বিক্রি করে প্রায় ২ লাখ টাকা আয় হবে। এখন তার কোনো ধার-দেনা নেই। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তার কচু চাষ আরো ব্যাপকতা পেতো বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মন্নান জানান, কচু সবজি স্বাস্থ্যর জন্য উপকারি, পরিবেশবান্ধব এবং ভিটামিনযুক্ত। কচু উৎপাদনে খরচ কম, রোগ-বালাই কম। দামও ভালো পাওয়া যায় কচু চাষে। কৃষকরা এ উপজেলার সলিমপুর, ধানখালী, মিঠাগঞ্জ এলাকায় বর্তমানে কচু চাষ করছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত