বড়বোনের সঙ্গে প্রেম, ছোটবোনকে ধর্ষণ!

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় প্রবাসী দম্পতির এক কিশোরী (১৫) কে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলা দায়েরের ৫ ঘণ্টার মাথায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীমের তৎপরতায় অভিযুক্ত মো. সাজ্জাদ (২২) কে আটক করা হয়।

পরে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ ধর্ষণকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তারকৃত সাজ্জাদ।

গাছ কাটা বন্ধ করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন গাবতলের আব্দুশ শুক্কুর ওরফে লেবার শুক্কুরের পুত্র সাজ্জাদ দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। তরুণীর বাবা-মা দুজনেই বিদেশে থাকার সুযোগে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ওই মেয়ের ছোটবোনের দিকেও হাত বাড়ায় সাজ্জাদ। প্রেমিকার ছোটবোনকে যৌন প্রস্তাব দিয়ে সাড়া না মেলায় প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে তিনি ওই কিশোরীকে ধর্ষণের সিদ্ধান্ত নেন।

পূর্বপরিকল্পনা হিসেবে গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে ধর্ষিতা কিশোরীকে ফোন করে ডেকে নেন সাজ্জাদ। তারপর সহযোগী আসামি রিপন (১৯) এর সহায়তায় মুখ চেপে ধরে তাকে সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে রাঙ্গামাটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে সাজ্জাদ। পরদিন ধর্ষিতা কিশোরী সুযোগ বুঝে তার মামাকে ফোন করে নিজ অবস্থান জানান। সেই অনুযায়ী ধর্ষিতার মামা এবং অন্যরা ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে কৌশলে সেখান থেকে সটকে যান সাজ্জাদ ও রিপন।

এরপর গত শুক্রবার দুপুরে ধর্ষিতার নানী বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় সাজ্জাদ ও রিপনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ৫ ঘণ্টার মাথায় চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীমের প্রত্যক্ষ পরিকল্পনা, তত্ত্বাবধান ও দিকনির্দেশনায় উপজেলার হালিমপুর এলাকা থেকে প্রধান আসামি সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশের একটি চৌকস দল।

এ প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়া সার্কেল এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, ধর্ষণের ঘটনার সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করার পাশাপাশি আমরা আসামি গ্রেপ্তারে তৎপর হই। সেই অনুযায়ী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশে পালিয়ে যাওয়ার পূর্বমুহূর্তে প্রধান আসামি সাজ্জাদকে আমরা গ্রেপ্তার করি।

এদিকে, ধর্ষককে গ্রেপ্তারে পুলিশের এই তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ধর্ষিতার পরিবারসহ স্থানীয়রা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ