ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

দাবি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার সফলতা বিশ্ব স্বীকৃত

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০৮  
আপডেট :
 ০৪ অক্টোবর ২০২০, ১৯:১১

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার সফলতা বিশ্ব স্বীকৃত
ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দাবি করেছেন, করোনাকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রায় মহলে সমালোচনা থাকলেও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এ মন্ত্রণালয়ের ‌‘সফলতা’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সারা দুনিয়া স্বীকৃতি দিয়েছে।

রোববার রাজধানীর শিশু হাসপাতালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২০’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গত ৭-৮ মাস ধরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোভিড মহামারি মোকাবেলা করেছে সফলতার সঙ্গে। যার স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব, যার স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যার স্বীকৃতি দিয়েছেন বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার এর স্বীকৃতি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাতেই কাজ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

করোনা পরিস্থিতি বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃত্যু এখন ২০-৩০ জনে নেমে এসেছে। যেখানে প্রতিবেশি ভারতে এক হাজার মারা যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রেও এক হাজার জন করে মারা যাচ্ছেন।

অন্য সব দেশের সঙ্গে তুলনা করলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে মোট মৃত্যু ‘এক লাখের বেশি হতো’ বলেও মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, করোনাকালে কোভিডের পাশাপাশি নন-কোভিড সেবাও ভালোভাবে দেয়া হয়েছে। কোনো স্বাস্থ্যসেবা থেমে থাকেনি। সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা ভালোভাবে বজায় রেখেছি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আজ থেকে (৪ অক্টোবর) ১৭ অক্টোবর সারা দেশর সকল ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র,কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সমূহে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

মন্ত্রী মায়েদের উদ্দেশে জানান, শিশুর জন্মের পর প্রতিটি মা কে এক ঘণ্টার মধ্যে শাল দুধসহ মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। জন্মের ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স ৬ মাস পার হলে তখন মায়ের দুধের পাশাপাশি শিশুকে অন্যান্য খাবার দিতে হবে।

উল্লেখ্য, টিকাদান ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের ৬ মাস থেকে ১ বছরের কম বয়সী প্রায় ২৭ লক্ষ শিশুকে নীল রঙের ১ টি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে লাল রঙের ১ টি করে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপি আই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি প্রফেসর ডা. শহীদুল্লাহ ,লাইন ডিরেক্টর মুস্তাফিজুর রহমানসহ অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত