ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভুয়া সনদে প্রভাষক পদে ৯ বছর চাকরি!

  কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১১ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৩৪

ভুয়া সনদে প্রভাষক পদে ৯ বছর চাকরি!

কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি কলেজে ভুয়া সনদে প্রভাষক পদে দীর্ঘ নয় বছর চাকরির পর এক প্রভাষকের জালিয়াতি ধরা পড়েছে। কলেজটি জাতীয়করণ ঘোষণার পর সনদ যাচাই-বাছাইয়ে কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত বলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছে। এছাড়া জালিয়াতির আশ্রয়ে ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমারখালী উপজেলা শহরের বেসরকারি ডিগ্রি কলেজটি সরকারি ঘোষণায় ২০০৮ সালের ৮ আগস্ট জাতীয়করণ করা হয়। জাতীয়করণের পর শিক্ষকদের সনদ যাচাইয়ে আরবি ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত বলে অতি সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় আওতাধীন এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ১৬৯৭ স্মারকে সনদ যাচাই সংক্রান্ত চিঠি গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষকে ই-মেইল মারফত এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে নির্দেশ দেয়া হয় অধ্যক্ষকে ।

এনটিআরসিএর প্রেরিত চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মর্মে সাবিরা খাতুনের দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদের রোল নম্বর ২১৪১০৭৯৬, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮০৫৫৯১১৪ যাচাইকালে সনদটি ভুয়া প্রমাণিত হয়। এছাড়া নিবন্ধন পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ২৭ এবং তিনি ওই নিবন্ধন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ জালিয়াতির আশ্রয়ে ভুয়া সনদে সাবিরা খাতুন ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রভাষক পদে কলেজে নিয়োগ লাভ করেন। এরপর ২০১১ সালের ১ মে তিনি এমপিওভুক্ত হন। এমপিওভুক্তির পর থেকে দীর্ঘ নয় বছর যাবত অবৈধ পন্থায় সরকারি আর্থিক সুবিধা ভোগ করে আসছেন। তবে এনটিআরসিএর নির্দেশ মোতাবেক কলেজের অধ্যক্ষ অভিযুক্ত প্রভাষকের বিরুদ্ধে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা কিংবা আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। অভিযুক্ত প্রভাষকের নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত সংক্রান্ত চিঠি এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হলেও ওই চিঠিটি অধ্যক্ষের হাতে ডাকযোগে না পৌঁছার অজুহাত দেখিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভুয়া সনদধারী ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রভাষক সাবিরা খাতুনের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে বার বার কল করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

কুমারখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শরিফ হোসেন জানান, প্রভাষক সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া সংক্রান্ত বিষয়টি এনটিআরসিএ’র ওয়েবসাইট মারফত জেনেছি। তবে এ সংক্রান্ত কোন চিঠি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। চিঠি পাওয়ার পর নির্দেশমতো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত