ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪১ মিনিট আগে
শিরোনাম

দুর্নীতি: স্বাস্থ্যের আরও চার কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১৮:৪৯

দুর্নীতি: স্বাস্থ্যের আরও চার কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আরও চার কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এরা হলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি ক্লিনিক শাখার সহকারী আনোয়ার হোসেন, উচ্চমান সহকারী মো. শাহানেওয়াজ ও শরিফুল ইসলাম এবং অফিস সহকারী মো. হানিফ।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান দলের প্রধান মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান, স্বাস্থ্যখাতের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান চলমান আছে। সেই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুহুল আমিন, প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসের হাওলাদার, অধিদপ্তরের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান ফকির ও আবু সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গত ৮ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বরাবর নোটিস পাঠিয়ে ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেন অনুসন্ধান দলের প্রধান কর্মকর্তা সামছুল আলম। এতে ১৩, ১৪ ও ১৫ অক্টোবর তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছিল।

ওই নোটিসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেকে নিজের ও স্ত্রীর নামে থাকা পাসপোর্ট, এনআইডি ও আয়কর রিটার্নের অনুলিপি সঙ্গে করে নিয়ে আসতে বলা হয়।

বৃহস্পতিবার আরও চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মাসুদ করিম, মো. আলাউদ্দিন, মো. ইকবাল হোসেন এবং কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার মো. সাফায়েত হোসেন ফয়েজ।

১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে তলব করে নোটিসে অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করে বিদেশে অর্থ পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করার অভিযোগ রয়েছে।

দুদকের কর্মকর্তারা জানান, কমিশনের একটি দল ২০১৯ সাল থেকে অনুসন্ধান চালিয়ে স্বাস্থ্যখাতের ৪৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা সিন্ডিকেট করে দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন।

তাদের কয়েক জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে মামলাও করেছে দুদক। অন্যান্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে।

আরো পড়ুন

বিএমএ নেতা ডা. ফয়সালের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত