ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মন্ত্রীর কাছে চিকিৎসক নেতাদের অভিযোগ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২০, ০৬:১২

মন্ত্রীর কাছে চিকিৎসক নেতাদের অভিযোগ

স্বাস্থ্যখাতে চিকিৎসক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক নেতারা। এসব সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে সোসাইটি অব সার্জনস অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোভিড-১৯ মহামারিতে সার্জনদের ভূমিকা শীর্ষক’ অনুষ্ঠানে চিকিৎসক নেতারা নিজেদের বক্তব্যে এই ক্ষোভ জানান।

অনুষ্ঠানে চিকিৎসক নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সমস্যার সমাধান না হলে ভবিষ্যতে আন্দোলনে নামবেন তারা। এ সময় অনুষ্ঠানে আসা চিকিৎসকরাও চিকিৎসক নেতাদের কথায় সমর্থন জানান।

সভায় চিকিৎসক নেতা ডা. ইকবাল আর্সলান বলেন, রাজনৈতিক নেতারা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে নীতি নির্ধারণ করবেন। প্রশাসনের কর্মকর্তারা তা বাস্তবায়ন করবেন। এদেশের বিজ্ঞানীরা যে পরামর্শ দিচ্ছেন, সেগুলোকে পাশ কাটিয়ে তাদের (প্রশাসন ক্যাডার) নিজেদের মনগড়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, আমলারা ব্রিটিশ আমলের শাসন ব্যবস্থায় সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। নিয়ন্ত্রণ করার মানসিকতা থেকেই এসব করা হচ্ছে।

সভায় আর্সলান আরও বলেন, এটা আমরা মেনে নিচ্ছি না। এর আগে যখন এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছিল আমরা তাদের হুঁশিয়ার করেছিলাম। কিন্তু হুঁশিয়ারিটা… আসলে তাদের কানে মনে হয় পানি যাচ্ছে না। যদি কানে পানি দিতে হয় তাহলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অতীতে যেভাবে সব আন্দোলন পরিচালনা করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।

বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, বিএমএ এবং স্বাচিপের উদ্যোগে সোমবার বিএমএ ভবনে দেশের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের সভা ডাকা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনসহ অন্যান্য পেশাজীবী সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময়, প্রতি সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন জেলার পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হবে। তারপর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

স্বাচিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ আজিজ অনুষ্ঠানে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক কর্মকর্তারা কাজ করছেন। কিন্তু অ্যাডমিনের লোকজন ঢোকানো হচ্ছে। নার্সিং,পরিববার পরিকল্পনায় তাদের লোকজন বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুনতে পাচ্ছি ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনেও অ্যাডমিনের লোক দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে যেখানে টেকনিক্যাল জনবল লাগে। তারা আমাদের কাজের পরিবেশ তৈরি করে দেবেন, তা না করে খবরদারি করছেন।

বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আপনি জানেন কি না আমি জানি না, নতুন ডিজি হয়ত তার কাজকর্ম এখনও বুঝে উঠতে পারেননি। তিনি আপনাকে বলেছেন কিনা আমরা জানি না। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক কাজে চিকিৎসক কর্মকর্তাদের বাদ দিয়ে আমলাতান্ত্রিক করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন ক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করে বলেন, পদ-পদবী নিয়ে যে আশঙ্কা করেছেন, তা ভেবে দেখা হবে। এ বিষয়ে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই সেটা হলো, আমার হাত দিয়ে এমন কোনো কাজ হবে না, যেটা স্বাস্থ্য সেবার বা ডাক্তারদের স্বার্থ হানি হবে। আপনারা আমার পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন।

আরও পড়ুন- ‘তদবির করে নয়, প্রধানমন্ত্রী বসিয়েছেন’

বাংলাদেশ জার্নাল/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত