ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

রাতে শ্বশুরবাড়ি গেলো প্রবাসী, সকালে ফিরলো লাশ হয়ে

  পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২০, ১৮:২৩

রাতে শ্বশুরবাড়ি গেলো প্রবাসী, সকালে ফিরলো লাশ হয়ে

পাবনার সুজানগরে শশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনে প্রবাসী এসএম সালাউদ্দিন রাজনের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাজন পাবনা সদর উপজেলার বাংলাবাজার এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে। পুলিশ সোমবার সকালে রাজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহত রাজনের স্বজন ও এলাকাবাসী জানায়, রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজন পাবনার বাংলাবাজারের বাড়ি থেকে তাঁতিবন্দ গ্রামে শশুরবাড়িতে যান। সেখানে সোমবার ভোরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগে। এক পর্যায়ে রাজন তার স্ত্রী কামরুন্নাহারকে মারধর করেন। এ সময় কামকরুন্নাহারের চিৎকারে শশুরবাড়ির লোকজন ছুটে আসে এবং জামাই রাজনকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে।

তারা আরও জানায়, মারপিটের এক পর্যায়ে রাজন জ্ঞান হারিয়ে ফেললে শশুরবাড়ির লোকজনই তাকে সুজানগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্ত হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন। পরে হাসপাতালে রাজনের মরদেহ রেখে পালিয়ে যান শশুরবাড়ির লোকজন।

রাজনের মা সালমা খাতুন জানান, ৮ বছর আগে সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের কায়েম উদ্দিন খানের মেয়ে কামরুন্নাহারের (৩২) সঙ্গে তার ছেলে রাজনের বিয়ে হয়। রাজন বিয়ের পর থেকেই কুয়েত, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যায়। বেশিরভাগ সময় কামরুন্নাহার বাবার বাড়িতে থাকতো। কয়েক মাস আগে রাজন দেশে ফিরে আসে এবং এরপরও বউমা বাপের বাড়ি থেকে আর আসেনি। এ অবস্থায় রাজন মাঝে মধ্যে শশুরবাড়িতে যাওয়া আসা করতে থাকে। তিনি বলেন, তার ছেলেকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি এর বিচার চান।

এ বিষয়ে নিহত প্রবাসী এসএম সালাউদ্দিন রাজনের শশুরবাড়ির লোকদের না পাওয়ায় তাদের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়বি।

সুজানগর থানার ওসি বদরুদ্দোজা বলেন, খবর পেয়ে সকালে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং রাজনের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

ওসি আরো জানান, রাজনের গায়ে নির্যাতনের চিন্হ রয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে পুরোপুরি হত্যার কারণ বোঝা যাবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বিকাল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সুজানগর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছিল। মামলার বাদী রাজনের মা সালমা খাতুন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত