চিকিৎসাকে সিল মেরে দিচ্ছেন ডাক্তার রিয়াজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২০, ১৬:৫৭
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল (সদর) হাসপাতালে রোগীর প্রেসক্রিপশনে ঔষধের নাম কলম দিয়ে লিখার পরিবর্তে সিল মেরে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠেছে, সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে। যদিও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসা সেবাসহ অনেক বিষয় নিয়েই প্রতিনিয়ত অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে, কিন্তু প্রেসক্রিপশনে ঔষধের নাম সিল মেরে দেয়া মানে রোগীদেরকে ডাক্তারের অবহেলারই প্রমাণ, এমনটি মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
প্রেসক্রিপশনে দেখা যায় সিল দেয়া তারিখ যেখানে লিখা রয়েছে ‘২১. ০০৭. ২০২০’। রোগীর নাম অস্পষ্ট অক্ষরে লিখা রয়েছে আলামিন।
এই রোগীর চিকিৎসা করেছেন ডা. খান রিয়াজ মাহমুদ জিকো। অভিযোগ আছে, ডাক্তার রিয়াজ রোগীকে দরজায় দাড় করিয়ে রেখে রোগীর শারীরিক সমস্যার কথা ঠিকভাবে না শুনে টিকেটের উপর চট করে একটা সিল মেরে দেন। সেই সিলে ৬টি ঔষধের নাম লিখা। এই ঔষধগুলোর ৪টি ১৫ দিন করে ও দুইটি ১ মাস করে খেতে বলা হয়েছে। ঔষধের নাম ও খাওয়ার নিয়ম সবই এই সিলে লিখা আছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, আগে থেকেই যদি রোগের একাধিক ঔষধের নাম একসাথে লিখে সিল বানিয়ে রাখা হয় এবং সেই সিল মেরে মেরে চিকিৎসা করা হয় তাহলে কি সেই চিকিৎসা শতভাগ শুদ্ধ হবে কি না?
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল (সদর) হাসপাতালের পরিচালক ডা. শওকত জানান, ‘সিল মেরে ঔষধ দেয়া যৌক্তিক নয় আমিও মানছি। আমরা এ বিষয়ে ডা. রিয়াজের সঙ্গে কথা বলবো এবং ভবিষ্যতে এই বিষয়টি যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে তার দিকেও খেয়াল রাখবো। আমাদের কাজ রোগীদের সেবা দেয়া এবং সেটুকু নিশ্চিত করার জন্য যতটুকু করা প্রয়োজন আমরা করছি।’
আর দরজায় রোগীকে দাঁড়িয়ে রাখার প্রসঙ্গে পরিচালক বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের নিয়ম কানুন মেনেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এই ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করেছে।’
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে